বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

আদানি ইস্যুতে উত্তপ্ত হতে পারে
সংসদ, কৌশল নিয়ে দ্বিমত বিরোধীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বুধবার লোকসভায় বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনায় জবাবি ভাষণ। তবে তিনি কি আদৌ এলআইসি-এসবিআই ইস্যুতে মুখ খুলবেন? কৌশলে খুললেও কীভাবে আক্রমণ করবেন কংগ্রেসকে? রাজনৈতিক মহলে কৌতুহল তুঙ্গে। ওদিকে, মোদি মুখ না খোলা পর্যন্ত চুপ থাকবে না বিরোধীরা। ফলে গত দুদিনের মতো আজও বিক্ষোভ-প্রতিবাদে সংসদ উত্তাল হবে। কংগ্রেস আরও একধাপ এগিয়ে সড়কেও আদানি ইস্যুটি টেনে আনছে। প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে আজ গোটা দেশে জেলাস্তরে এলআইসি এবং এসবিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে কংগ্রেস। 
সংসদ চত্বরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির সামনেও হবে ধর্না। লোকসভা-রাজ্যসভার অন্দরে প্রতিবাদ। যদিও আজ এবং কাল রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর মোট ১২ ঘণ্টার আলোচনা চাইছে সরকার। তবে বিরোধীদের প্রতিবাদে সভা চলবে, নাকি মুলতুবি হয়ে যাবে, সেটাই প্রশ্ন। প্রতিবাদের ভাষা নিয়েও বিরোধীদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। 
আজ সকালে গান্ধী মূর্তিতে ধর্ণার আগে সংসদ ভবনে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের ঘরে ফের বিরোধীরা একজোট হয়ে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করবেন। রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের আলোচনা হতে দেওয়া হবে, নাকি চলবে হল্লা? ধর্নায় তৃণমূলের দুই এমপি প্রতিনিধিত্ব করবেন ঠিকই, তবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বা ডেরেক ও’ব্রায়ানের মতো দুই সভার দলের নেতা যাবেন না। বৈঠকেও কেউ যাবেন না। মেঘালয়ে ভোটের কথা মাথায় রেখেই কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে টিএমসি। মেঘালয়ে কংগ্রেস-তৃণমূল মুখোমুখি লড়ছে। 
রাজনৈতিক সূত্রে খবর, কংগ্রেস, ডিএমকে, জেডিইউয়ের মতো কয়েকটি দল এলআইসি-এসবিআই ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি)তদন্ত চাইবে। সেটা নাহলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নজরদারিতে তদন্ত। অন্যদিকে, জেপিসিতে আপত্তি তৃণমূলের। দলের মতে, জেপিসি মানেই আদতে বিষয়টি ঠান্ডা ঘরে চলে যাবে। জেপিসি গঠন হলেও ৩০ সদস্যের কমিটির চেয়ারম্যান হবেন বিজেপির কোনও এমপি। সদস্যের সিংহভাগও তাই। 
সেই কারণে‌ সংসদে আলোচনায় অংশ নিয়ে আদানি ইস্যুতে মোদি সরকারকে নাজেহাল করতে চায় তৃণমূল। দলনেত্রীর নির্দেশ মতো, মোদি সরকারকে তুলোধোনা করতে কোমর বাঁধছেন দলের দুই এমপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহুয়া মৈত্র। একইভাবে রাজ্যসভায় ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায় এবং জহর সরকার। 
তাই বিরোধীদের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। কংগ্রেসকে এ ব্যাপারে চাপে ফেলেছে টিএমসি। ডেরেক ও’ব্রায়েনের টুইট, মোদি সরকার সংসদে আলোচনা চাইছে না। পালাচ্ছে। ফলে বিরোধীদের মধ্যেও যদি কেউ বিক্ষোভ দেখিয়ে সভা ভণ্ডুল করে, বুঝতে হবে বিজেপির সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা আলোচনা চাই। বিক্ষোভ নয়। অন্যদিকে, কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, রাজনীতিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদের অন্যতম ভাষা। তাই আদানি ইস্যুতে সরকার মুখ না খোলা পর্যন্ত চুপ থাকব না। 

6th     February,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ