বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

লক্ষ্য নেশার কুফল বোঝানো
স্কুলপড়ুয়াদের সচেতন করবে কেন্দ্র
৩০০টি জেলায় শুরু হচ্ছে প্রকল্প

দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি: লক্ষ্য, নেশার কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই উদ্দেশ্যে দু’বছরে প্রায় আড়াই কোটি ছাত্রছাত্রী এবং ১০ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে পৌঁছতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই লক্ষ্যপূরণে প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া হচ্ছে ষষ্ঠ থেকে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের। সরকারি সূত্রের খবর, আপাতত দেশের মোট ৩০০টি জেলাতে এই কাজ শুরু করতে চলেছে কেন্দ্র। পুরো কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রকের উপর। ইতিপূর্বে শিশু-কিশোরদের মধ্যে নেশার প্রভাব নিয়ে একাধিকবার সমীক্ষা চালিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। সেইসব সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, বহু নাবালক মদ, গাঁজা, আফিমের মতো বিপজ্জনক নেশায় আক্রান্ত।
সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রধানত এইসব সমীক্ষা রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরে স্কুলপড়ুয়াদের  সচেতন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যদি প্রথম পর্যায়ে সাফল্য পাওয়া যায়, তাহলে পরবর্তী ক্ষেত্রে দেশের প্রত্যেকটি জেলাতেই এমন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
সরকারি সূত্রের খবর, যেসব স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৩০ জন কিংবা তার বেশি, প্রাথমিকভাবে সেইসব স্কুলকেই ওই কর্মসূচির রূপায়ণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রকের উপর সামগ্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকলেও শিক্ষামন্ত্রক এবং বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরের সহযোগিতাও নেওয়া হবে। তবে বাস্তবায়নের সার্বিক খরচ বহন করবে সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রকই। পরিকল্পনা করা হয়েছে যে, আপাতত স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে এই কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রাখা হবে। তবে এর প্রচার ও প্রসার খতিয়ে দেখে আগামীদিনে এই কর্মসূচি কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও সম্প্রসারিত করা হবে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, নেশার কবলে পড়লে আক্রান্তদের মানসিক এবং ব্যবহারগত বেশ কিছু পরিবর্তন হয়। কর্মসূচির মাধ্যমে প্রধানত সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বাবা-মা কিংবা অভিভাবকদের সেই ‘সাইকোলজি’ সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল করা হবে। বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে বেশ কিছু ‘টার্গেট’ গ্রুপও। যদি কোনও পড়ুয়ার বাবা কিংবা মা নেশার কবলে আক্রান্ত হন, তাহলে তাকে অবশ্যই ওই টার্গেট গ্রুপে রাখতে বলা হয়েছে। কোনও পড়ুয়ার বাবা কিংবা মা যদি এইচআইভি আক্রান্ত হন, তাহলে সেও থাকবে টার্গেট গ্রুপে। এরই পাশাপাশি পথ-শিশু কিংবা স্কুলছুটদেরও এই তালিকায় রাখতে বলা হয়েছে।

29th     January,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ