বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

এবার জামিয়া, বিবিসির ‘নিষিদ্ধ’ তথ্যচিত্র
বন্ধে দাদাগিরি শাহের পুলিসের, আটক ১৩

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: জেএনইউয়ের পর এবার জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০২ সালের গুজরাত হিংসার উপর বিবিসির তৈরি করা ‘নিষিদ্ধ’ তথ্যচিত্র প্রদর্শন বন্ধে বুধবার জামিয়া মিলিয়ায় কার্যত দাদাগিরিই চালাল অমিত শাহের পুলিস। সঙ্গে ছিল র‌্যাফ, দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীও। ক্যাম্পাসের কাছে কাঁদানে গ্যাসের শেল হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিসকর্মীরা। অর্থাৎ, একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দৃশ্যতই যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয় দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চত্বর। এদিন বিবিসির তথ্যচিত্রের ‘স্ক্রিনিং’ শুরুর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রনেতাকে আটক করে দিল্লি পুলিস। প্রতিবাদে বিকেলে জামিয়ার সাত নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং মিছিলের ডাক দেন বামপন্থী ছাত্রনেতারা। এসএফআই এবং আইসার অভিযোগ, বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরুর আগেই একের পর এক প্রতিবাদকারী ছাত্রনেতাকে আটক করে গাড়িতে তোলে পুলিস। মুহূর্তের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। কার্যত ‘সিল’ করে দেওয়া হয় প্রত্যেকটি প্রবেশ পথ। রাত পর্যন্ত থমথমে ছিল ক্যাম্পাসের পরিবেশ। তথ্যচিত্র আর দেখানো হয়নি। অন্যদিকে, উত্তেজনা ছিল জেএনইউ ক্যাম্পাসেও। তাই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়।
ঘটনাচক্রে এদিন জামিয়া মিলিয়ায় কয়েকটি বিভাগের পরীক্ষা ছিল। পুলিস জানিয়ে দেয়, শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীরাই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন। আর কেউ নয়। ফলে উত্তেজনা বাড়ে। পড়ুয়াদের একাংশ প্রশ্ন করতে থাকেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁরা ভিতরে যেতে পারবেন না? 
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই জেএনইউয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শনকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তির সৃষ্টি হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি সিদ্ধান্ত নেয়, বুধবার বিকেলে ক্যাম্পাসে ওই তথ্যচিত্রের স্ক্রিনিং হবে। এরপরেই আসরে নামে জামিয়া মিলিয়া কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি জারি করে তারা জানিয়ে দেয়, কোনও জমায়েত কিংবা স্ক্রিনিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিনা অনুমতিতে কোনও কাজ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমা আখতার বলেন, ‘যাদের কোনও পরিচিতি নেই, তেমন কয়েকটি ছাত্র সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এমন আচরণ কোনওমতেই বরদাস্ত করা হবে না।’ অন্যদিকে, এদিনই বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলীধরনের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘জেএনইউয়ে টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের সদস্যরা আছেন। তারা দেশকে ভাগ করতে চাইছেন। পুলিস পুরোটাই খতিয়ে দেখবে।’ এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ‘সিএএ-এনআরসি নিয়ে আন্দোলনের সময় যে আচরণ করা হয়েছিল, তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে একইরকম প্রতিহিংসাপরায়ণ ব্যবহার করছে দিল্লি পুলিস।’ এদিন বিক্ষোভের সময় প্রায় ৭০ জন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে এসএফআই। রাতে অবশ্য আইসা অভিযোগ করে, অন্তত ১০ জনকে ফতেহপুর বেরি থানায় আটকে রেখেছে পুলিস। রাতে দিল্লি পুলিসের ডিসিপি পি এষা পান্ডে দাবি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছিল। কর্তৃপক্ষ সেই অনুমতি দেয়নি। তারা পুলিসকে খবর দেয়, ক্যাম্পাসের বাইরে কিছু পড়ুয়া উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। তখনই পুলিস আসে এবং এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ১৩ জনকে আটক করে।

26th     January,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ