বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

মলের পছন্দসই সব কিছুই বিনামূল্যে পেতে পারেন
গরিবরাও, এমনই আনোখি দাস্তান আনোখা মলের

লখনউ,২৭ জানুয়ারি: ঝাঁ চকচকে শপিং মল। সেখানে সারি সারি কাঁচের দেওয়াল ওয়ালা দোকানের শো-কেসে সাজানো চোখ ধাঁধানো শাড়ি-গহনা। কোথাও আবার লোভনীয় সুস্বাদু রকমারি খাবার। আরও কত কী! কিন্তু, সেসব জিনিস কিনতে যে পকেটের রেস্ত চাই। আর গরিব মানুষদের কাছে, এগুলোর কাছে পৌঁছনোটাই একটা স্বপ্ন। এ যেন শুধুই দূর থেকে দেখার সম্ভার। যা দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কী বা করার আছে! কিন্তু এ যে আনোখা মল। এখানে ‘আনোখা’ অনেক কাণ্ডই ঘটে। কারণ মলটি থেকে পছন্দসই যা খুশি নিয়ে যেতে পারবেন গরিব, দুঃস্থ মানুষেরাও। তাও আবার এক্কেবারে বিনামূল্যে। জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই বিনামূল্যে দিয়ে থাকেন মল কর্তৃপক্ষ। আর তার জন্য একটা পয়সাও লাগে না।
পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি। এই তিন রাজ্যে প্রতিবছর শৈত্যপ্রবাহের দাপটে থরথর করে কাঁপেন বাসিন্দারা। তবে যাঁদের কাছে রয়েছে শীতবস্ত্র তাদের অসুবিধা নেই। কিন্তু যাঁদের নেই? সেই রিক্সাচালক, দিনমজুর, ভিক্ষুক, ফুটপাতবাসী বা অনান্য দুঃস্থদের সহ্য করতে হয় হাড় হিম করা ঠাণ্ডা। এই শীতের মরশুমে যাতে প্রত্যেকের গায়েই গরম জামাকাপড় থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এহেন অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন আনোখা মল কর্তৃপক্ষ। গত পাঁচ বছর ধরেই ডিসেম্বর, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস ধরে তাঁদের এই বিশেষ কর্মসূচি চলে। কিন্তু কেন এই উদ্যোগ? শপিং মলের কর্ণধার জানিয়েছেন, অনেক সাহায্যপ্রার্থী আছেন যারা প্রচারের আড়াল থেকে দান করতে চান শীতবস্ত্র বা সাধারণ বস্ত্র। কখনও বা জুতো, শ্যুটকেস, স্কুলের জামাকাপড়, কম্বল ইত্যাদি। তাঁরা আমাদের মলে সে সব বস্ত্র পাঠিয়ে দেন। অন্যদিকে আবার, অনেক দুঃস্থ মানুষই রাজনৈতিক দান নিতে অস্বীকার করেন। সেইসব বিষয়কে মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ। ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বিগত কয়েকবছর ধরেই এই কাজ করে চলেছে আনোখা মল। সাধারণ মলের মতোই রেখে দেওয়া হয় শীতবস্ত্র। যাঁদের দরকার তাঁরা এসে নিয়ে যান। মলটিতে শুধুমাত্র এই বিভাগটি দেখার জন্য রয়েছেন চারজন কর্মচারী। এই সুবিধা মেলে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। শপিং মলের কর্ণধার জানিয়েছেন, যে কেউ এসে আমাদের এইসব জামাকাপড় দিয়ে যেতে পারেন। সেগুলি পরিধানের যোগ্য করে তুলব আমরাই। তারপরে বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হবে দুঃস্থদের হাতে। পরিসংখ্যান থেকে জানা গেল, গত বছর প্রায় ৩-৪ হাজার মানুষ বিনামূল্যে পোশাক সংগ্রহ করতে পেরেছেন।

27th     January,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ