বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

মমতা আমার রাজনীতির গুরু: মিঠুন
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বেআব্রু চেহারা বৈঠকে
সুকান্ত-মিঠুনের সামনেই বাগযুদ্ধ জেলা নেতাদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: ফিল্মিতারকা মিঠুনকে সামনে রেখেও সামলানো যাচ্ছে না নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ! বেরিয়ে আসছে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠী-উপগোষ্ঠী দ্বন্দ্বের বেআব্রু চেহারা। শনিবার ঠিক যেমনটা ঘটল আসানসোলের জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি সভা ছিল সেখানে। রণকৌশলের পাঠ দিতে তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাঠ দেওয়া তো শিকেয়! উল্টে, দু’জনের সামনেই যুযুধান গোষ্ঠী তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। শেষে জেলার নেতা-কর্মীদের ‘সবক’ শেখাতে আসরে নামেন সুকান্ত-মিঠুন। তাতেও খুব একটা চিঁড়ে ভেজেনি। রাখঢাক না করে মিঠুনকে উদ্দেশ্য করে বহু কর্মীকে বলতে শোনা যায়—‘আপনাকে আর কী শোনাব, বিধানসভা ভোটের পর এখানকার সব জেলা নেতা উধাও হয়ে যান। মাঝখানে থেকে আমরা মার খাচ্ছি। আসলে, এখানকার একাধিক নেতা তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে চলছেন।’ সব শুনলেন মিঠুন। জবাব অবশ্য দিলেন না। পাণ্ডবেশ্বরে সভার শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘আজ আমি শুধু শুনব। কিছু বলব না।’ 
তবে, তিনি মুখ খুলেছেন আসানসোল জেলা পার্টি অফিসে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে গিয়ে দৃশ্যতই বিরক্ত মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি নেতা, আমি করেছি, না বলে বলুন, আমরা করেছি। এই মানসিকতা আগে আনতে হবে।’ সেই সঙ্গে মিঠুনের সংযোজন—‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি মহিলাদের আবেগ ভাঙতে মহিলাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।’ এর আগে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলে জানিয়ে দেন মিঠুন। তিনি বলেন, ‘আমি কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরাট বড়  ফলোয়ার। আমার রাজনীতির গুরু হলেন মমতা। উনি যা যা করেছেন, আমি তাই তাই করেছি।’ একাধিকবার দলবদল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এটাই ছিল মিঠুনের ব্যাখ্যা। 
এদিন অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ দলের চেহারা দেখে আসল বোমাটি ফাটিয়েছেন সুকান্তবাবু। পার্টি অফিসে জেলার নেতা-কর্মীদের রীতিমতো ধমক দিয়ে তিনি বলতে থাকেন, ‘পশ্চিম বর্ধমান জেলায় দেখছি নেতা বেশি। কাজের লোক কম। প্রতি মণ্ডলে পাঁচটা করে গ্রুপ। এভাবে রাজনীতি চলে! তৃণমূল নিজেদের মধ্যে লড়াই করে, আবার নির্বাচন আসলে সবাই এক হয়ে যায়। আমাদের সবাই লড়াই করে ব্যানারে, নেতাদের পাশে ছবি তুলে। নির্বাচন এলে আমার লোক প্রার্থী হয়নি বলে  ঘরে বসে যায়। এ ভাবে রাজনীতি হয় না।’ সুকান্তবাবুকে এও বলতে শোনা যায়, ‘সিকিউরিটি নিয়ে অনেক নেতা ঘুরছেন। নেতারা যদি ভয়ে সাধারণভাবে বের হতে না পারেন, কর্মীরা কী করবে? আমার কাছে সব খবর আসে।’

27th     November,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ