বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

১০০ দিনের কাজে আসছে বেনজির গাইডলাইন
রাজ্যের অধিকার কেড়ে
নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রেরই হাতে

সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি: শুধু আর্থিক বঞ্চনা নয়, এবার রাজ্যের অধিকারেও হাত বাড়াল মোদি সরকার। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে নিজেদের হাতে তুলে নিতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। আর তার জন্য এই প্রকল্পের কাঠামোগত আমূল পরিবর্তন হতে চলেছে। প্রকল্প রূপায়ণ, অর্থবরাদ্দ এবং সেই অর্থের সঠিক ব্যবহার। এর কোনও কাজেই ‘সন্তুষ্ট নয়’ কেন্দ্র। মোদি সরকারের যুক্তি, ১০০ দিনের প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং সময় মতো তার বাস্তবায়ন, এর কোনওটাই নাকি কাঙ্ক্ষিতভাবে সেরে উঠতে পারছে না রাজ্য। তাই আগামী দিনে কেন্দ্রই ঠিক করে দেবে প্রকল্প রূপায়ণের গাইডলাইন। তার জন্য এই প্রকল্পে আনা হবে একঝাঁক সংশোধনী। যে পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান অভিমুখ—কেন্দ্রের ক্ষমতা ও অধিকারের সীমানা বৃদ্ধি। রাজ্য সরকার তথা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের মাধ্যমে এই প্রকল্প রূপায়ণ হবে নাম কা ওয়াস্তে। পুরোটাই নিয়ন্ত্রিত হবে কেন্দ্রের গাইডলাইনে। অর্থাৎ, ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড ইস্যু করার পর কোন কোন ধরনের কাজ দিতে হবে, তার বিস্তারিত রূপরেখাও তৈরি করে দেবে কেন্দ্র। মূলত জোর দেওয়া হবে নিকাশি, পানীয় জল সহ পরিকাঠামো খাতে।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু হয় গ্রামীণ ভারতে কাজ দেওয়ার এই গ্যারান্টি প্রকল্প। ২০০৭ থেকে গোটা ভারতেই সেই সংক্রান্ত আইন এবং প্রকল্প বলবৎ হয়। ইউপিএ জমানার এই প্রকল্প গ্রামীণ অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কিন্তু মোদি সরকার কংগ্রেস-মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে ছুটে চলেছে। বিরোধীরা বলছে, সেই এজেন্ডাই কার্যকর করছে কেন্দ্র। বদলে দিচ্ছে কংগ্রেসের নীতিও। আর তারই কোপ পড়ছে ১০০ দিনের কাজে। গত অক্টোবর মাসেই এই সংক্রান্ত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। তবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, অর্থমন্ত্রক, নীতি আয়োগও কমিটিকে পরামর্শ দেবে। ছয় সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটির প্রধান কাজ হবে, ১৫ বছর ধরে ১০০ দিনের প্রকল্প রূপায়ণের রূপরেখা কেমন ছিল তার খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করা। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দ ও ব্যবহারে কোন রাজ্য কতটা সফল সেটাও দেখবে তারা। তারপর ঠিক হবে, কোথায় কী বদল করা যায়। এই পুরো প্রক্রিয়া শেষে তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে কমিটি। গত সপ্তাহেই তারা একটি বৈঠক করেছে। 
কেন্দ্রের টার্গেট, ঠিক বাজেট পেশের মুখে এই রিপোর্ট হাতে পাওয়া। কারণ মোদি সরকারের দীর্ঘদিনের দাবি, রাজ্যগুলি সঠিকভাবে টাকা খরচ করে না এবং যথাযথ ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেটও জমা দেয় না। বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে এ নিয়ে কেন্দ্রের বিরোধ চরমে। বাংলায় চাপানউতোর এতটাই তুঙ্গে যে, কেন্দ্রীয় টিম পাঠানোর পরও প্রাপ্য টাকা বন্ধ করে রেখেছে মোদি সরকার। অন্য বিরোধী রাজ্যের ক্ষেত্রেও কমবেশি এক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাই এবার গোড়ায় আঘাত করতে চাইছে তারা। ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ যদি পুরোটাই নিজেদের হাতে চলে যায়, তাহলে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুই ক্ষেত্রেই লাভ বিজেপির।

27th     November,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ