বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

প্রয়াত মায়ের সরকারি চাকরিতে অধিকার
নেই বিবাহিতা মেয়ের, রায় সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: মা সরকারি চাকুরে। কর্মরত অবস্থায় প্রয়াত। কাজেই নিয়ম মেনে সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরির আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর বিবাহিতা মেয়ে। সেই মামলায় এবার যুগান্তকারী নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। আদালত সাফ জানাল, প্রয়াত মায়ের সরকারি চাকরিতে বিবাহিতা মেয়ের কোনও অধিকার নেই। বিচারপতি এম আর শাহ ও কৃষ্ণ মুরারীর বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বিবাহিতা মেয়েকে প্রয়াত মায়ের উপর নির্ভরশীল বলা যায় না। কাজেই মায়ের মৃত্যুর পর তিনি সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি পাওয়ার দাবি জানাতে পারেন না। এর আগে ওই মহিলার আবেদন সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বিবেচনা করে দেখতে বলেছিল মহারাষ্ট্র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল ও বম্বে হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় মামলা। তার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ওই কর্মীর মৃত্যুর পর বেশ কয়েক বছর কেটে গিয়েছে। তাই তাঁর বিবাহিতা কন্যা সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরির জন্য যোগ্য নন। 
আবেদনকারী মহিলার বাবা ছিলেন সরকারি সংস্থার কেরানি। কর্মরত অবস্থায় তিনি মারা যান। সহানুভূতির ভিত্তিতে ওই সংস্থায় চাকরি দেওয়া হয় তাঁর স্ত্রীকে। কিন্তু তাঁরও কর্মরত অবস্থাতেই মৃত্যু হয়। এরপর ওই মহিলার বড় ঩মেয়ে একই নিয়মে চাকরির আবেদন জানান। কিন্তু তিনি বিবাহিতা হওয়ায় ২০১১ সালে সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এর দু’ বছর পর রাজ্য সরকারের একটি সার্কুলারে বলা হয়, কর্মরত অবস্থায় প্রয়াত সরকারি কর্মীর একজন আইনি উত্তরাধিকারী ও প্রতিনিধিকে সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চাকরির আবেদন জানান প্রয়াত ওই মহিলা কর্মীর আর এক বিবাহিত কন্যা। কিন্তু তাও নাকচ হয়ে যায়। বছর দুয়েক পর তিনি ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন। সেখানে আবেদন মঞ্জুর হয়। বম্বে হাইকোর্টও সেই নির্দেশ বহাল রাখে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলার বিস্তারিত খতিয়ে দেখে আগেই আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, মৃত কর্মীর পরিবার যাতে আর্থিক অনটনে না পড়েন, সেকথা বিবেচনা করেই সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরির ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। সেজন্য নিহতের উপর নির্ভরশীলদের মধ্যে একজনকে নিয়োগের সংস্থান রাখা হয়। কিন্তু এটা কারও অধিকার হতে পারে না। এরপরই এদিন সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই মহিলা কর্মীর মৃত্যুর পর বেশ কয়েক বছর কেটে গিয়েছে। তারপরও ওই মহিলা কর্মীর মেয়ের আর্জির বিবেচনার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। সেই নির্দেশে সিলমোহর দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু সমস্ত দিক বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্টের নির্দেশ সমর্থনযোগ্য নয়।

7th     October,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ