বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ড
অন্যতম দোষী পেরারিভালানকে
মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি, ১৮মে: রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডে অন্যতম দোষী সাব্যস্ত পেরারিভালানকে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রায় ৩০ বছর কারাবাসের পর মুক্তি পেলেন তিনি। আজ, বুধবার তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দেয় বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চ। এদিন বেঞ্চ সংবিধানের ১৪২ নং ধারায় এই নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি বেঞ্চ জানিয়েছে, বেশ কিছু বিষয় খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টেট ক্যাবিনেট। ১৪২ ধারা অনুযায়ী দোষীকে মুক্তি দেওয়া যায়। এই ধারা সুপ্রিম কোর্টের আদেশ এবং ফরমান সংক্রান্ত। আজ সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। আর আগে গত ৯ মার্চ সর্বোচ্চ আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিল। এরপর এপ্রিল মাসে পেরারিভালানকে ছেড়ে দেওয়া জন্য আর্জি জানানো হয়। বলা হয়, দীর্ঘ ৩০ বছর জেলে রয়েছেন তিনি। জেলবন্দি অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফলে তাঁকে মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হোক। এছাড়া তামিলনাড়ু সরকারও তাঁর মুক্তির জন্য সুপারিশ জানিয়েছিলেন। যদিও পেরারিভালানকে নিয়ে তামিলনাড়ু সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কেন্দ্র। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছিল শাস্তি মুকুবের অধিকার কেবল রাষ্ট্রপতিরই রয়েছে। ফলে মামলার দীর্ঘ শুনানির পরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালানের মুক্তির বিষয়টি স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি মেনে রাজ্যপাল বিষয়টি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে পাঠান। তবে তিনি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। সিদ্ধান্ত নিতে এত দেরি কেন? সেই প্রশ্নও তোলে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর সিদ্ধান্ত বদল করে আজ পেরারিভালানকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ২১মে রাতে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যান দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। নির্বাচনী প্রচারে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। মারা গিয়েছিল আরও ১৪ জন। আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছিলেন ধানু নামের এক মহিলা। এরপর ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে চারজকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়। এরমধ্যে ছিল পেরারিভালান, মুরুগান, সান্থাম এবং নলিনীর নাম। জানা গিয়েছিল, হত্যাকাণ্ডের জন্য ব্যাটারি কিনে দিয়েছিল পেরারিভালান। এরপর ২০১৪ সালে পেরারিভালানের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আজীবন কারাবাসের নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি সান্থাম এবং মুরুগানের ক্ষেত্রেও একই সাজার নির্দেশ দেওয়া হয়। কারণ কেন্দ্র তাঁদের ক্ষমার আবেদনে সিদ্ধান্ত নিতে প্রায় ১১ বছর দেরি করে। এদিকে পেরারিভালানের মুক্তি ফলে মুরুগান এবং নলিনীকেও কী মুক্তি দেওয়া হতে পারে? দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।

18th     May,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ