বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

বেকারত্বের ক্ষতে প্রলেপ দিতে ১ লক্ষ ১৪
হাজার নিয়োগের টার্গেট মোদি সরকারের

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সবথেকে বড় ক্ষোভ বেকারত্ব নিয়ে। সরকারি কিংবা বেসরকারি, জীবিকার সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। করোনাপর্বে সেই সঙ্কট আরও তীব্র হয়েছে। ঠিক এই আবহে হতে চলেছে পাঁচ রাজ্যের ভোট। বছরের শেষে আরও দুই রাজ্যের নির্বাচন। আগামী বছর একঝাঁক রাজ্যে নির্বাচন। এবং তার দেড় বছরের মধ্যেই লোকসভা ভোট। বিগত একাধিক ভোটের চরিত্রে দেখা গিয়েছে যে, যুব এবং মহিলা ভোটারই প্রতিটি রাজ্যে প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে চলেছে জয় পরাজয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে। এক বছর ধরে কৃষকদের আন্দোলনকে উপেক্ষা করে কৃষকদের চরম ক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এরপর যদি যুব ও মহিলা ভোটব্যাঙ্কও হাতছাড়া হয়ে যায়, তাহলে বিজেপির রাজ্যে রাজ্যে সরকার গড়া এবং লোকসভা ভোটে আবার গরিষ্ঠতার স্বপ্ন ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করছে শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই কারণেই এবার কর্মপ্রার্থী যুব সম্প্রদায়ের ক্ষোভে প্রলেপ দিতে উদ্যোগী মোদি সরকার সরকারি নিয়োগে জোর দিতে উদ্যত হয়েছে। ২০২২ সালে ১ লক্ষ ১৪ হাজার শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। 
ইতিমধ্যেই সরকারি চাকরির একঝাঁক পরীক্ষা হয়েছে, কিন্তু পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়নি। কিংবা নিয়োগের পরবর্তী পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি বহু ক্ষেত্রে আবেদন পত্র গ্রহণ করা হলেও পরীক্ষাই নেওয়া হয়নি। দুটি ক্ষেত্রেই চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। করোনার কারণে প্রথমে এবং তারপর মামলা কিংবা প্রশ্ন ফাঁস ইত্যাদি জটিলতার আটকে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের নানা মন্ত্রকের চাকরি। 
এই অবস্থায় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বৃদ্ধির প্রধান কারণ বহু প্রার্থীর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সই চলে যাচ্ছে। এই চাকরি প্রার্থীরা সরকারি পদে নিয়োগের পরীক্ষার জন্য যখন আবেদন করেছিলেন, তখন বয়স ছিল নির্ধারিত যোগ্যতামানের মধ্যে। কিন্তু প্রায় ২ বছর চলে যাওয়ায় সেই বয়স আর থাকবে না। দেশজুড়ে তৈরি হওয়া ক্ষোভ প্রশমন করতে কেন্দ্রীয় সরকারি মন্ত্রক এবং রেলের বকেয়া পরীক্ষাগুলি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইভাবে  যে  পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে সেগুলির ফলপ্রকাশেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। গত বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত হিসেবে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের নিজস্ব কর্মসংস্থান সংক্রান্ত পরিসংখ্যানে শূন্যপদের সংখ্যা যেখানে সব মিলিয়ে ২ লক্ষ ২০ হাজার, সেখানে কর্মপ্রার্থী আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২ কোটি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক বারংবার অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে, এই ঘোষণা করে ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেও বাস্তবে রাজ্যে রাজ্য‌ জী঩বিকা ও কর্মসংস্থান নিয়ে হাহাকার তীব্র হয়েছে। করোনাকালের পর যখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরছে, সেই সময় একমাত্র তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি জীবিকার সংস্থান তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু অন্য সেক্টরগুলিতে সেভাবে এখনও কর্মসংস্থান নেই। সবথেকে কম কর্মসসংস্থান হতে দেখা গিয়েছে সরকারি ক্ষেত্রে। ২০২২ এবং ২০২৩ সালে তাই নরেন্দ্র মোদি সরকারি  চাকরি দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। 

26th     January,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ