বিশাখাপত্তনম: সারাদিন মোবাইলেই মজে রয়েছে মেয়ে। একাধিকবার বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু, লাভ হয়নি। তাই ‘শাস্তি’ দিতে দিনের পর দিন কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে।  শিউড়ে ওঠার মতো ঘটনাটি ঘটেছে বিশাখাপত্তনমে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। গত রবিবার তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। পরীক্ষার জন্য কিশোরীকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই কিশোরী দিনের অনেকটা সময় ফোন ঘাটাঘাটি করে কাটিয়ে দিত। তাতেই বেশ রেগে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। শায়েস্তা করতে মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ৪২ বছরের ওই ব্যক্তি।  দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনা চললেও ভয়ে ও লজ্জায় মুখ খোলেনি কিশোরী। মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিল সে। সম্প্রতি এক শিক্ষককে গোটা বিষয়টি জানায় নির্যাতিতা। সব শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান শিক্ষক। অভিযুক্তকে ডেকে পাঠান তিনি। ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, কিশোরীর বাবা অভিযোগ স্বীকার করে নেন। কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাও চান। তারপর গত শনিবার নাবালিকাকে নিয়ে থানায় যান তিনি। অভিযোগও দায়ের করা হয়। 
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, বছর দু’য়েক আগে কিডনির সমস্যায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। স্ত্রী কিডনি দান করায় সেইবার প্রাণে বেঁচে যান তিনি। পাঁচ মাস আগে ওই মহিলাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিত্সার জন্য বাপের বাড়ি চলে যান। তারপর থেকে কিশোরীই বাবার দেখাশোনা করত। যদিও মেয়ে সারাদিন ফোন নিয়ে বসে থাকায় দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত।