বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

দ্রুত হার মানছে সংক্রমণ, স্কুল বন্ধ
রাখার যুক্তিই নেই: বিশ্ব ব্যাঙ্ক কর্তা

নয়াদিল্লি (পিটিআই): শেষের পথে করোনা! ইউরোপের একাধিক দেশ অন্তত তেমনটাই মনে করছে। অন্যান্য আর পাঁচটা রোগের মতো করোনাও এখন ‘ফ্লু’... ঘোষণা করেছে স্পেন। আয়ারল্যান্ডও সরিয়ে দিয়েছে করোনার ‘ঘাতক’ তকমা। বিশ্বের তামাম চিকিৎসক মহল মনে করছে, ওমিক্রন অবতারে শেষের পথে কোভিড-১৯। চলছে গণপরিবহণ। খুলছে শপিং মল, সিনেমা, থিয়েটার। স্বাভাবিক জীবন-জীবিকায় ফিরছে গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে শুধু স্কুল-কলেজ বন্ধ কেন? এই প্রশ্নই তুলে দিলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের কর্তা। তাঁর অভিমত, করোনার চোখরাঙানিকে অতীত ভেবে এবার স্কুল খুলে দেওয়াই উচিত। 
বিশ্ব ব্যাঙ্কের শিক্ষা সংক্রান্ত ডিরেক্টর জাইম সাভেদ্রা। করোনার চলতি ঢেউ সত্ত্বেও তাঁর সাফ কথা, বিধি-নিষেধে বার-রেস্তরাঁ সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে স্কুল বন্ধ রাখার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। করোনা আঘাত হানার পর থেকেই তাঁর নেতৃত্বাধীন একটি টিম শিক্ষাক্ষেত্রে করোনার প্রভাব সংক্রান্ত তথ্যের উপর নজর রাখছে। সেই তথ্য নিয়ে কাটাছেঁড়া চালিয়ে যাচ্ছে তারা। দেখা গিয়েছে, স্কুল খোলার ফলে সংক্রমণ বেড়েছে—এমন কোনও তথ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিসংখ্যান থেকে পাওয়া যায়নি।
ওয়াশিংটন থেকে ফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাইম বলেন, ‘অনেকে মনে করছেন, পড়ুয়াদের করোনা ভ্যকসিন না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল খোলা যাবে না। এই দাবির পক্ষে কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। স্কুল অবশ্যই খুলে দেওয়া প্রয়োজন। আর সংক্রমণের নতুন ঢেউ এলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত শেষ পদক্ষেপ। স্কুল খুললে শিশুদের যতটা শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা, বন্ধ রাখলে তার থেকে অনেক বেশি মূল্য চোকাতে হবে।’ 
তাহলে প্রথম দফায় স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়েছিল? ব্যাঙ্ককর্তা জানান, ‘২০২০ সালে করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় এই মহামারী মোকাবিলার কোনও পথই জানা ছিল না। সেই কারণেই স্কুল বন্ধ রাখা হয়। পরের দু’বছরে একাধিক ঢেউ এসেছে। এর মধ্যেও অনেক দেশে স্কুল খোলার খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু তার জন্য সংক্রমণের হার তেমন বাড়েনি। অনেক দেশে আবার স্কুল বন্ধ থাকা পর্যবেক্ষকরা নিশ্চিত, সংক্রমণ বৃদ্ধিতে স্কুল খোলা বা বন্ধ রাখার কোনও ভূমিকা নেই। এখন ঢেউ ওমিক্রনের। শিশুরা এতে আক্রান্ত হলেও ক্ষতির পরিমাণ খুবই কম। জীবনের ঝুঁকিও নগণ্য।’ 
ভারতে স্কুল বন্ধ রাখার প্রভাব সম্পর্কে জাইম বলেন, ‘যা ভাবা হয়েছিল, ক্ষতি হয়েছে তার তুলনায় অনেক বেশি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত শিশুদের দক্ষতায় সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। ‘লার্নিং পভার্টি’ বা শিক্ষায় দৈন্য বেড়েছে। ১০ বছরের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে একটি সহজ পাঠ্য বিষয় পড়া ও বোঝার ক্ষমতা কমেছে। স্কুল বন্ধ থাকার ফলে ভারতে এই লার্নিং পভার্টি ৫৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭০ শতাংশ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। এর প্রভাব ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের সামগ্রিক আয় বা বৃদ্ধির উপরও পড়বে। ২০২০’তে বিশ্ব ব্যাঙ্কই কিন্তু জানিয়েছিল, স্কুল বন্ধ থাকায় ভারতের আয় কমবে ৪০ হাজার কোটি ডলার।

17th     January,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ