পাটনা: বিহারে বিধান পরিষদ নির্বাচনের আগে জমে উঠেছে জোট রাজনীতির অঙ্ক। মহাজোট নাকি এনডিএ— শেষপর্যন্ত কার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবে চিরাগ পাসোয়ানের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি), তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। নতুন জোটের অঙ্কে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ইতিমধ্যেই এলজেপির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। স্বয়ং আরজেডি সুপ্রিমো সর্বসমক্ষে ঘোষণা করেছেন, জোট এবং আসন বণ্টন নিয়ে তাঁর সঙ্গে চিরাগের কথা চলছে। এমনকী, এই আসন ভাগাভাগির একটি সম্ভাব্য চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে আরজেডির তরফে। বলা হচ্ছে, ২৪ সদস্যের বিধান পরিষদ নির্বাচনে ১৫টি আসনে প্রার্থী দেবে আরজেডি। আর কংগ্রেস ৫টি আসনে, এলজেপি ৩টি আসনে এবং বাম ১টি আসনে প্রার্থী দেবে।
যদিও আরজেডি-এলজেপির হাত ধরার বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। দলের একটি অংশ চাইছে জোট হোক। অন্য অংশ আবার উপনির্বাচনে ভরাডুবি সত্ত্বেও একলা লড়ার ডাক দিয়েছে। তাঁদের যুক্তি, গত বিধানসভা ভোটে এলজেপি’র মাত্র একজন জয়ী হয়েছিলেন। পরে তিনিও দল বদলে জেডি(ইউ)-তে চলে যান। তারপর দিন কয়েক আগে দু’টি আসনের উপনির্বাচনেও দাঁত ফোটাতে পারেনি তারা। এই পরিস্থিতিতে জোটের পরিবর্তে রাজ্যে একক পরিচিতি গড়ে তোলাই শ্রেয় বলে মনে করছেন কংগ্রেস মুখপাত্র আনন্দ মাধব। বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের এখনও তিন বছর বাকি। এর মধ্যে দলকে নতুন করে গড়ে তুলে একলা নির্বাচনে লড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করার যথেষ্ট সময় রয়েছে।’ আবার নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, ‘যাঁরা আরজেডির হাত ধরার পক্ষে সওয়াল করছেন, তাঁরা ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছেন। যাতে নিজেদের লোককে আরজেডির সাহায্যে বিধান পরিষদে ঢোকানো যায়।’
অন্যদিকে, জোটের পক্ষে থাকলেও বিষয়টি থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন বিহার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মদনমোহন ঝা। তাঁর কথায়, ‘এমন কোনও আলোচনার কথা আমার জানা নেই।’গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে এলজেপি। দলের মুখপাত্র আশরফ আনসারি জানিয়েছেন, আজ, রবিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন চিরাগ পাসোয়ান।