বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

বিজেপির হিংসা, রিগিংয়ে
রক্তাক্ত ত্রিপুরার নির্বাচন
ভোটের মাঝেই হস্তক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের

বিশেষ সংবাদদাতা, আগরতলা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশই সার। কাজে এল না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আশ্বাস। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার পুর নির্বাচনে অব্যাহত বিজেপির সন্ত্রাস। পাল্লা দিয়ে চলল রিগিং। কোথাও রাস্তায় ফেলে মার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে! কোথাও আবার জ্বালিয়ে দেওয়া হল বিরোধীদের বুথ অফিস! অধিকাংশ বুথে  বাম-তৃণমূলের পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে বাধা। অবাধে ছাপ্পা ভোট, বুথ জ্যাম, ভোটারদের হুমকি, লাইন থেকে বের করে দেওয়া এবং বাইক বাহিনীর দাপিয়ে বেড়ানোর ছবি দেখা গেল সর্বত্র। নিজের ভোটটুকুও দিতে পারলেন না বহু বিরোধী প্রার্থী। নীরব দর্শক হয়ে রইল পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সরকারি বাসভবনের ২০০ মিটারের মধ্যেই উঠল বুথ জ্যাম ও ছাপ্পার অভিযোগ। রিগিং, হামলা, রক্তারক্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, বেনজিরভাবে ভোট চলাকালীনই হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয় সুপ্রিম কোর্ট। পরিস্থিতি সামলাতে দুপুরে ত্রিপুরার পোলিং বুথের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত দু’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয় মোদি সরকারকে। তাতেও রাজনৈতিক সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি। বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিন আগরতলা পুরসভা, ১৩টি পুর পরিষদ এবং ছ’টি নগর পঞ্চায়েতের মোট ৩৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২২টিতে ভোটগ্রহণ হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৮১.৫২ শতাংশ।   এদিন সকাল থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল আগরতলা বিধানসভার অন্তর্গত ইন্দ্রনগর উচ্চ মাধ্যমিক ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের বুথে। সেখানেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে হেনস্তার শিকার হন আগরতলা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেব। কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল সেখানে। আগরতলা পুরসভার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে আমতলির মহিলা পলিটেকনিক কলেজে ভোট দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন তৃণমূল প্রার্থী তপন কুমার বিশ্বাস। তাঁর মাথায় এবং চোখে গুরুতর আঘাত করা হয়। বর্তমানে তিনি আগরতলার জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাব্রুম নগর পঞ্চায়েত এবং ধর্মনগর থেকেও বাম ও তৃণমূলের পোলিং এজেন্টকে মারধর, বুথ থেকে বের করে দেওয়া এবং ভোটারদের ভয় দেখানোর খবর এসেছে। ছাপ্পা ভোটের একাধিক ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যদিও তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চোখে পড়েনি। পরিস্থিতি বিচার করে সকালেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল ও সিপিএম। তাদের আর্জির প্রেক্ষিতেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। পুলিসের ডিজি এবং সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেও বলা হয়। ত্রিপুরা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘প্রার্থীদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের লোকজনকেও ছাড়েনি বিজেপি। ওরা জানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে একটি আসনও পাবে না, তাই এই কাজ করেছে।’ রাজ্য বামফ্রন্টের কনভেনার নারায়ণ করও একই সুরে আঙুল তুলেছেন বিজেপির দিকে। অধিকাংশ বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁর সাফ কথা, রাজ্য কমিশনের ভূমিকা ন্যক্কারজনক। বিজেপি নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসেরও। অন্যদিকে, বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের দাবি, মানুষ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।

26th     November,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ