বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

চীনের হয়ে চরবৃত্তি তিব্বতি শরণার্থীদের
সীমান্তে অশান্তির মধ্যেই সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের

দেবাঞ্জন দাস  কলকাতা: এদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আশ্রয় নেওয়া তিব্বতি শরণার্থীদের একাংশকে ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে লাগাচ্ছে জি জিনপিংয়ের কমিউনিস্ট চীন। শরণার্থীদের ওই অংশের সাহায্যেই ‘মেনল্যান্ড চায়না’র লোকজন নেপাল হয়ে এদেশে পৌঁছচ্ছে। ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি সহ যাবতীয় লজিস্টিকস সাহায্য জোটাচ্ছেন চীনা গুপ্তচর সংস্থা লালিত তিব্বতি শরণার্থীরা। গত কয়েক মাসে ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি এলাকা থেকে চীনা নাগরিকদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন তিব্বতি শরণার্থীকেও পাকড়াও করেছে পুলিস। তাদের জেরা করেই বেজিংয়ের এই ছকের বিষয়টি সামনে এসেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। 
তিব্বতি শরণার্থীদের একাংশের ‘ভারতবিরোধী’—এহেন অবস্থান সম্পর্কে ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রের বিভিন্ন এজেন্সি। একই বার্তা দিয়েছে সেনা গোয়েন্দা বিভাগও। অভিযোগ, শরণার্থী শংসাপত্র এবং ভারতের নানা পরিচয়পত্র থাকায় তিব্বতিদের এই অংশটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবাধে বিচরণ করছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই এদেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নানা তথ্য জোগাড় করে চীনা গুপ্তচর সংস্থা ‘গুয়ানবু’র হাতে তুলে দিচ্ছে শরণার্থীদের একটা অংশ। শুধু এদেশে আশ্রয় নেওয়া  শরণার্থীরাই নয়, চীন অধিকৃত তিব্বতদের (চাইনিজ অটোনমাস রিজিয়ন) বাসিন্দারাও গুপ্তচরবৃত্তির কাজে এদেশে আসছে। গোয়েন্দারা বলছেন, দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরু, তিরুবন্তপুরম, কোচি সহ কয়েকটি এলাকায় ঘনঘন যাতায়াত করছে চীনা নাগরিকরা। তবে দেশে ফেরার রুট হিসেবে প্রতিবার ব্যবহার করা হচ্ছে এ রাজ্যের খয়েরবাড়ি থানার পানিট্যাঙ্কির নেপাল সীমান্ত। 
গোয়েন্দারা বলছেন, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে চলতি অক্টোবর মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত সশস্ত্র সীমা বলের ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সাতজনকে পাকড়াও করেছে। তারা সকলেই সীমান্ত পেরচ্ছিল। এর মধ্যে তিনজন চীনা নাগরিক, একজন ভারতীয়, একজন নেপালি এবং বাকি দু’জন ভারতে আশ্রয় নেওয়া তিব্বতি শরণার্থী। গোয়েন্দারা বলছেন, সীমান্ত পেরিয়ে নেপালে পালানোর সময় গত ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসবি পাকড়াও করে চোয়েসের ওয়েসের নামে এক চীনা নাগরিককে। তার সঙ্গে পাকড়াও করা হয় শিলিগুড়ির প্রধাননগরের বাসিন্দা পেমবা ভুটিয়া নামে আরও একজনকে। ধৃত প্রত্যেক চীনা নাগরিকের কাছ থেকে মিলেছে এদেশের আধার কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্র। জেরায় জানা যায়, চীন নয়, চোয়েসের তিব্বতের বাসিন্দা। তাকে সীমান্ত পার করার কাজে সাহায্য করছিল ভারতীয় নাগরিক পেমবা। এর পাঁচদিন পর পানিট্যাঙ্কি এলাকা থেকে নেপালে প্রবেশের সময় পাকড়াও করা হয় গোবসং নাইমা নামে অপর এক চীনা নাগরিককে। গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ফের পানিট্যাঙ্কি এলাকা থেকে পাকড়াও করা হয় একজন চীনা নাগরিক, একজন নেপালি নাগরিক সহ মোট চারজনকে। এবারের ধৃত চীনা নাগরিকও তিব্বতের বাসিন্দা, নাম সোনম ফুনসুক। তার নেপালি সহযোগীর নাম তেনজিং ওদেন লামা। চীন সীমান্তবর্তী নেপালের গোর্খা জেলার চুংথুবাড়ির বাসিন্দা এই ব্যক্তি। গোয়েন্দারা বলছেন, এই পর্বে যে গ্রেপ্তারি তাঁদের সবচেয়ে বেশি হতবাক করেছে, তা হল এদেশে আশ্রয় নেওয়া দুই তিব্বতি শরণার্থী। তাদের নাম তেনডিন শেরিং এবং কারমা গেলের। তাদের কাছ থেকে শরণার্থী শংসাপত্রও মিলেছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় ধৃতদের সঙ্গে চীনা গুপ্তচর সংস্থা গুয়ানবুর আঁতাতের বিস্তর তথ্য মিলেছে।      

12th     October,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ