বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

গত নির্বাচনের আসন ধরে
রাখতে পারবে না বিজেপি
মত ত্রিপুরার মহারাজের

রাহুল চক্রবর্তী, আগরতলা: একুশে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে আলোড়ন ফেলে দেওয়া রাজনৈতিক থিম সং আর স্লোগান—‘খেলা হবে’তিনি শুনেছেন। টিভির পর্দায় তা নিয়ে তর্ক-বিতর্কও উপভোগ করেছেন।  বছর দেড়েক বাদে ফের ‘খেলা হবে’ তাঁর রাজপাটে। তার আগে বুধবার সকালে আগরতলার রাজপ্রাসাদে বসে ত্রিপুরার মহারাজা প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য একটু স্বতন্ত্র। বললেন, ‘এখন বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে খেলা হচ্ছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঢোকার দরকার নেই। অনেকটা মোহনবাগান- ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি ম্যাচের মতো। খেলা হচ্ছে। আমি তো এখানে জর্জ টেলিগ্রাফ।’ অর্থাৎ বর্তমান রাজনৈতিক লড়াইটা যে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যেই সীমাবদ্ধ, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত পশ্চিম ত্রিপুরায় কোনও রাজনৈতিক জনসমাগম হবে না। এমনটাই সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহল বলছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা আটকাতেই এমন সিদ্ধান্ত। যা নিয়ে ত্রিপ্রা মোথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য বলেছেন, সরকার যদি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তাহলে বিজেপিও যেন কোনও কার্যক্রম করতে না পারে। আমাদের নজর থাকবে। 
২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এখন থেকেই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। মূলত আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেস পা রাখার পর থেকেই নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ দেখা যাচ্ছে। ত্রিপুরার মহারাজ বলেছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের আলোচনা করতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু গ্রেটার ত্রিপুরাল্যান্ডের দাবি থেকে আমরা সরছি না। আমাদের দাবি মানতে হবে এবং একটা লিখিত বক্তব্য দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি  গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন মাণিক্য।  উল্লেখ করেছেন, এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষ্যাৎ হয়নি। কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক কর্মকান্ড সব সময় নজর রাখি। কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়া ট্যুইটারে ত্রিপুরা সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা তুলে ধরে মহারাজ দেখিয়েছেন, তৃণমূল ৫৫ শতাংশ ভোট পেতে পারে। যে প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ট্যুইটারে করা একটি সমীক্ষায় সাধারণ লোকের মতামত তুলে ধরেছি। তার সঙ্গে আমার কিছু লেনাদেনা নেই। ত্রিপুরায় তৃণমূল সংগঠন গোছাচ্ছে। আগামীদিন কী হবে, তার দিকে নজর রয়েছে মাণিক্যের। তবে তিনি এটা উল্লেখ করেছেন, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে  বিজেপির ঝুলিতে যতগুলি আসন এসেছিল, তার পুনরাবৃত্তি ২০২৩ সালে হবে না। সেবার বিজেপি পেয়েছিল ৩৬টি আসন। ত্রিপুরার মহারাজা বলেছেন, ৩০টি আসনের লড়াই হবে ত্রিপ্রার সঙ্গে সিপিএমের। বিজেপি ফ্যাক্টর নয়। তৃণমূল এখনও সংগঠন তৈরি করতে পারেনি। যাত্রা শুরু করেছে মাত্র, ওরা আরও কিছুটা যাক। মানুষের রায়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসলেও, তাদের পারফরম্যান্স খুব খারাপ, সেটাও ব্যক্ত করেছেন মহারাজা। বিশেষ করে যে ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।  বলেছেন, যে কোনও ধরনের হিংসার ঘটনা রাজ্যের মর্যাদা ক্ষুন্ন করে। ৯ এপ্রিল আমার উপর হামলা হয়েছিল। যেখানে মহারাজাই সুরক্ষিত নয়, সেখানে সাধারণ মানুষের কী হবে! 

23rd     September,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ