বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

৬ থেকে ৮ সপ্তাহে আসছে তৃতীয় ঢেউ
সতর্কতা এইমসের, টিকা পাননি ১০৮ কোটি

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এখনও সক্রিয়। দিনে ৬০ হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণ হচ্ছে দেশজুড়ে। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও কমবেশি ১,৬০০। কিন্তু, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত এই সংক্রমণ হার ও মৃত্যুর প্রবণতা কমেছে স্বস্তিজনকভাবে, সেটাও সত্যি। আর এই প্রেক্ষিতেই ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে যখন ক্রমেই আবার স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেরকমই এক সময়ে দুঃসংবাদ শোনালেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের (এইমস) ডিরেক্টর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির অন্যতম সদস্য ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া। শনিবার তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করে বলেছেন, আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে আসতে চলেছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। আর এটা অনিবার্য। তাই বর্তমানে লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হলেও সতর্ক থাকতেই হবে। এই আশঙ্কার মধ্যে সবথেকে অনিশ্চিত বিষয়টি হল, নতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট কোভিড ভাইরাসের আক্রমণ কতটা প্রভাব ফেলবে তৃতীয় ঢেউয়ের আগমনে।
ডাঃ গুলেরিয়া বলেছেন, যেহেতু রাজ্যে রাজ্যে আনলক পর্ব শুরু হয়েছে, তাই আবার কোভিড প্রোটোকল সম্পূর্ণভাবে মান্য করা হবে না। বিপুল সংখ্যক মানুষ যে সতর্কতা ও বিধিনিষেধের গণ্ডি লঙ্ঘন করবে, সেটা নিয়ে সংশয় নেই। সুতরাং, কোভিড আবার সংক্রমণের সুযোগ পেয়ে যাবে। এই অসতর্কতার মধ্যেই দেড় থেকে দু’মাসের ব্যবধানে আসতে চলেছে তৃতীয় সংক্রমণের ঢেউ। ঠিক এই আবহে সবথেকে বড় উদ্বেগ হল, টিকাকরণের গতি। এখনও পর্যন্ত ২৭ কোটির কিছু বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ, বাকি রয়ে গিয়েছে প্রায় ১০৮ কোটি ভারতবাসী। তাদের এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিনের একটিও ডোজ নেওয়া হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে তৃতীয় ঢেউ এলে বিপুল সংখ্যক মানুষ যে আবার সংক্রামিত হতে পারেন, সেই আতঙ্ক থাকছেই। 
এই পরিস্থিতিতে একমাত্র সমাধান ভ্যাকসিন দেওয়ার হার বাড়াতে হবে বিপুলভাবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১১০ কোটি মানুষের ভ্যাকসিন প্রদান সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, যে হারে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, তাতে নির্ধারিত সময়ে মধ্যে সেই লক্ষ্যপূরণ করা কি আদৌ সম্ভব? বিশেষ করে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়া কবে সমাপ্ত হবে, সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন। কারণ, ২৭ কোটির হিসেবটা একটি ও দু’টি ডোজ মিলিয়ে। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন আবার খুলে গেলেও সাধারণ মানুষকে অনেক বেশি সতর্কতা নিতে বলছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা পরিকাঠামোয়। দ্বিতীয় ঢেউ যে সঙ্কট দেখিয়ে দিয়েছে, সেই অক্সিজেন থেকে হাসপাতাল বেড, ওষুধ থেকে চিকিৎসা উপকরণ যাতে আগামী দিনে সহজলভ্য হয়, সেটা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য আবার সমন্বয় বৈঠক করবে বলে জানা যাচ্ছে। 

20th     June,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ