বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

সুইস ব্যাঙ্কের টাকা ‘কালো’
নয়, সাফাই কেন্দ্রের
বিব্রত করতে তৎপর কংগ্রেস

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সাত বছর আগে শাসকের বিরুদ্ধে যা ছিল বিজেপির অস্ত্র, আজ সেই অস্ত্রে বিব্রত তারাই। ‘কালো টাকা’র ইস্যু চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে মোদি সরকারকে। সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের তহবিল ফুলে ফেঁপে ওঠার সংবাদে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপি ও মোদি সরকারের অস্বস্তি এখন এতটাই যে, সাফাই দিতে রীতিমতো বিবৃতি জারি করেছে অর্থমন্ত্রক। বলেছে, সুইস ব্যাঙ্কের কাছে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে জমা অর্থের পরিমাণ বাড়েনি। বরং কমেছে। অর্থাৎ, যে পরিমাণ অর্থ বেড়েছে বলে প্রচার চলছে, ওই টাকা ‘কালো’ নয়! আর তাই বিরোধীদের প্রশ্ন, সংবাদ ফাঁস হওয়ার পর সরকার হঠাৎ সুইস ব্যাঙ্কের কাছে নথিপত্র চাইছে কেন? এতদিন ধরে কী করছিল? 
অর্থমন্ত্রক শনিবার দাবি করেছে, সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয় গ্রাহকদের জমা টাকার পরিমাণ বেড়েছে—এটা সঠিক নয়। বরং কমেছে। ২০১৯ সালের তুলনায় গ্রাহকের জমা টাকার পরিমাণ অর্ধেক হয়েছে। যদিও এই  বিবৃতিতে অর্থের অঙ্ক নিয়ে কিছুই বলা হয়নি। শুধু জানানো হয়েছে, ভারত সরকার সুইস ব্যাঙ্কের কাছে এই ব্যাপারে তথ্য ও নথি চেয়েছে। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল, সরকারে এসে ১০০ দিনের মধ্যেই বিদেশ থেকে সব কালো টাকা ফিরিয়ে আনা হবে। বণ্টন করা হবে দেশবাসীর মধ্যে। হিসেব কষে একথাও জানানো হয়, কালো টাকা ফেরত এলে প্রত্যেক দেশবাসী তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে পাবেন। কিন্তু ১০০ দিন তো দূর অস্ত, সাত বছর কেটে গেলেও ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে আর বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চবাচ্যই করে না। 
সুইজারল্যান্ডের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক সূত্রে সম্প্রতি জানা যায়, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে সুইস ব্যাঙ্কে জমা ভারতীয় টাকার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। তিন গুণ বেড়ে সেই পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা হয়েছে। শুক্রবার কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, মোদি সরকার জবাব দিক এই টাকা কার? এই নিয়ে রাজনৈতিক আলোড়ন শুরু হতেই অর্থমন্ত্রক বিস্তারিত বিবৃতি দেয়। সেখানেই বলা হয়,  বন্ড, সিকিউরিটি ও নানাবিধ আর্থিক লেনদেনের জন্যই সুইস ব্যাঙ্কে জমা টাকার অঙ্ক এতটা বেশি মনে হচ্ছে। আসলে সরাসরি গ্রাহকের জমা দেওয়া অর্থ কমেছে। অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতীয় সংস্থার বাণিজ্যিক লেনদেন, ভারতে থাকা সুইস ব্যাঙ্কের শাখায় তহবিল বৃদ্ধি ও একাধিক ব্যাঙ্কের পারস্পরিক আদানপ্রদানই এর সম্ভাব্য কারণ।  
প্রসঙ্গত, সুইজারল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে ২০১৮ সাল থেকে চুক্তি রয়েছে, কর সংক্রান্ত বিষয়ে পারস্পরিক তথ্য বিনিময় করতে হবে। সেইমতোই জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে যে তহবিল ছিল ৬ হাজার ৬২৫ কোটি  টাকার, তাই ২০২০ সালে বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা। 

20th     June,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ