বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

কেন্দ্র ঘোষণা না করায় রাজ্যের ৭৭ শতাংশ
মানুষ এখন টিকা পাবেন না, উদ্বেগ বাড়ছে

বাংলার ৭ কোটি মানুষের বয়স ৪৫-এর নীচে

বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: ৪৫-এর নীচের বয়সসীমার মানুষের মধ্যে গণটিকাকরণের কথা ঘোষণা করেনি কেন্দ্র। তাই রাজ্যের অধিকাংশ মানুষই এখন টিকা পাবেন না। কারণ, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, বয়স ৪৫ বছরের নীচে, এমন মানুষের সংখ্যাই রাজ্যে সিংহভাগ। প্রায় ৭৭.৩ শতাংশ। সংখ্যার হিসেবে প্রায় সাত কোটি ছয় লক্ষ। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই জনসংখ্যা আরও বাড়বে বই কমবে না। হ্যাঁ, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এই জনসংখ্যার মধ্যে থাকা ভোটকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসক এবং প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা যদিও টিকা পেয়েছেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সব বয়স মিলিয়ে ৮৩ লক্ষ ৪৪ হাজার জন টিকা পেয়েছেন। তার মধ্যে ৪০-এর নীচের ভোটকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির যোদ্ধা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ মানুষ টিকা পেয়েছেন। ৪৫-এর নীচের হিসেব করলে তা বেড়ে হতে পারে বড়জোর ১০ লক্ষ মানুষ। তা বাদ দিলেও কমবেশি সাত কোটি মানুষের এখনই টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ওই কর্তা বলেন, ৪৫ ঊর্ধ্বের নাগরিকদের টিকাকরণ চালাতে গিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের টিকার ভাঁড়ারে প্রবল টান পড়েছে। এই অবস্থায় পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত হয়তো টিকা ছাড়াই আগামী আড়াই তিন মাস কাটাতে হতে পারে এই সাত কোটি মানুষকে।
একদিকে রাজ্যে করোনা লাফিয়ে বাড়ছে, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নীতির জন্য ৪৫-এর নীচের মানুষ এখনই টিকা পাবেন না। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কী করবেন? এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর আসছে, ২০২০ সালের মতো নয়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে ৪৫-এর নীচে থাকা মানুষজনের উপরও। বয়স কম মানেই করোনা তাকে ছোঁবে না বা কম ছোঁবে, নিজের সেই চরিত্র বদল করে নিয়েছে কোভিড ১৯।
চল্লিশের কোঠায় বয়স তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ময়ূখ চক্রবর্তীর। বললেন, ভয় তো লাগছেই। করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের বয়সি মানুষজনকেও কাহিল করে ফেলছে। এমনকী বাচ্চারা প্রচুর সংখ্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। আমার সোজা কথা, ৪৫-এর নীচে টিকাকরণ চালুতে দ্রুত ছাড়পত্র দিক কেন্দ্র। কিন্তু তার আগে টিকার সরবরাহ সুনিশ্চিত করুক। দু’বার টিকা পাওয়ার মতো স্টক নিশ্চিত করুক। না হলে শুধু গিমিক হবে, কাজের কাজ হবে না। তরুণ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ যোগিরাজ রায় বলেন, আমার বর্তমান কর্মস্থল আইডি হাসপাতালের আইসিইউতে অন্তত ২০ শতাংশ রোগীর বয়স ৪৫-৫০-এর নীচে। কয়েকজনকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে— এই যায় সেই যায় অবস্থা। জেনারেল ওয়ার্ডের ১০ শতাংশ রোগীর বয়স ৪৫-এর নীচে।
কোভিড গত বছরের থেকে সংক্রমণের চরিত্র বদল করেছে, এ নিয়ে সন্দেহ নেই। তাহলে উপায়? ডাঃ রায় বলেন, উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করান। বাড়িতে অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপুন। কম দেখলে সোজা হাসপাতালে চলে আসুন। তবে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ঠিক থাকলে অহেতুক আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ভিড় বাড়াবেন না। রাজ্য সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য ডাঃ জ্যোতির্ময় পাল বলেন, রাস্তা একটাই, মাস্ক, মাস্ক আর মাস্ক। এখনও বলছি, দয়া করে মাস্ক পরুন।-ফাইল চিত্র

14th     April,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ