চেন্নাই (পিটিআই): দফায় দফায় চলেছে আলোচনা। অবশেষে তামিলনাড়ুতে বিজেপির সঙ্গে আসন রফার ফর্মুলা চূড়ান্ত করে ফেলল ক্ষমতাসীন এআইএডিএমকে। ৬ এপ্রিল বিধানসভা ভোটে রাজ্যের ২০টি আসন বিজেপিকে ছাড়ছে মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামীর দল। পাশাপাশি, উপনির্বাচন হতে চলা কন্যাকুমারী লোকসভা আসনও বিজেপিকে ছেড়ে দিয়েছে এআইএডিএমকে। রফা চূড়ান্ত হওয়ার পর শনিবার কন্যাকুমারী লোকসভা আসনে প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেখান থেকে লড়বেন দলের প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পন রাধাকৃষ্ণন। গত বছর আগস্টে তামিলনাড়ুর এই আসনের কংগ্রেস সাংসদ এইচ বসন্ত কুমারের মৃত্যু হয়েছিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে। তাঁর মৃত্যুর কারণেই কন্যাকুমারী আসনে উপনির্বাচন হতে চলেছে।
দলের প্রথম প্রার্থী তালিকা হিসেবে একদিন আগেই ৬ জনের নাম ঘোষণা করেছিল এআইএডিএমকে। সেখানে নাম ছিল মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী ও উপমুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভামের। এরপর গতকাল বেশি রাতে বিজেপির সঙ্গে আসন রফা চূড়ান্ত হয় এআইএডিএমকের। সমঝোতা চূড়ান্ত করা হয় এআইএডিএমকে নেতা পালানিস্বামী ও পনিরসেলভাম এবং বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সি টি রবি ও রাজ্য সভাপতি এল মুরুগানের উপস্থিতিতে। কিছুদিন আগে পত্তলি মাক্কাল কাটচি দলের সঙ্গেও আলাদাভাবে জোট হয়েছিল এআইএডিএমকের। তাদের ২৩টি আসন ছেড়েছিল মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামীর দল। এবার বিজেপির সঙ্গেও আসন রফা পাকা করে ফেলল এআইএডিএমকে। জোট চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে তামিলনাড়ুর ২৩৪টি আসনের মধ্যে অন্তত ১৭০টি নিজেদের হাতে রাখতে মরিয়া ছিল এআইএডিএমকে। তার মধ্যে গতবারের জেতা ১৩৪টি আসন নিজেদের ঝুলিতেই রাখতে চেয়েছিল তারা। এই অবস্থায় আসন নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দর কষাকষির পালা শুরু হয়েছিল অমিত শাহ এবং পালানিস্বামী ও পনিরসেলভামের মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে। পরে এআইএডিএমকে নেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় সেই আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যান বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রবি ও তামিলনাড়ুতে ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ডি কিষান রেড্ডি।