বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

কোমর জলে ডুবে হরিরামপুর হাসপাতাল,  মিলছে না ওষুধ 

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: শোচনীয় অবস্থা! কোমর জলে ডুবে হরিরামপুর হাসপাতাল, চরম দুর্ভোগে রোগীরা। পরিস্থিতি এমন যে প্রায় ১ কিমি দূরে স্কুলে চালু করতে হল অস্থায়ী আউটডোর। কিন্তু সেখানেও প্রয়োজনীয় ওষুধ অমিল। 
দু’দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ায় হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে রবিবার সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে যায় পরিষেবা। ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় ভর্তি থাকা বেশিরভাগ রোগীকে। কিছু রোগীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। জলের তোড়ে ভেসে যায় ওষুধপত্র। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে পরিষেবা চালু রাখতেই বিপাকে পড়ে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। অবশেষে সোমবার হাসপাতাল থেকে দূরে হরিরামপুর হাইস্কুলে খোলা হয় অস্থায়ী আউটডোর। স্কুলের কিচেন শেডে চেয়ার-টেবিল পেতে রোগী দেখেন চিকিৎসকরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবশ্য রোগীদের ওষুধ দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেক রোগীকে আবার প্রাথমিক চিকিৎসার পরই রেফার করে দেওয়া হয় ৩৫ কিমি দূরে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে। এই অস্থায়ী আউটডোর চালুর খবর জানতে না পেরে বহু রোগী জল পেরিয়ে হাজির হন হরিরামপুর হাসপাতালেই। সেখানে ডাক্তারদের না পেয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন তাঁরা। হরিরামপুর হাইস্কুলে ছ’টি বেড বসিয়ে রোগী ভর্তির কথা বলা হলেও, হাতে স্যালাইন নিয়ে টেবিলে বসে কাতরাতে দেখা গেল এক রোগীকে। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ছাড়াই শুধু সবুজ কাপড় দিয়ে ঘিরে স্কুলে গর্ভবতীদের প্রসবের ব্যবস্থা করায় প্রশ্ন উঠছে। রোগীর পরিজনদের বক্তব্য, আচমকা যদি প্রসূতির অবস্থা সঙ্কটজনক হয়, তাহলে কীভাবে সামাল দেওয়া হবে? 
হরিরামপুর ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে থেকে ওষুধ নিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালালেও এখনও জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে কোনও ওষুধ সরবরাহ করা হয়নি। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তন্ময় ঘোষ বলেন, হরিরামপুর হাসপাতালে এখনও কোমর সমান জল। অস্থায়ীভাবে হরিরামপুর হাইস্কুলে ছ’বেডের হাসপাতাল চালু হয়েছে। স্কুলে আউটডোর পরিষেবাও চালু রাখা হয়েছে। হাসপাতালের বেশিরভাগ ওষুধ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পাশের ব্লক থেকে ওষুধ এনে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে জেলা থেকে এখনও ওষুধ পাইনি। জল নামলে জীবাণুনাশক স্প্রে করার পরই হাসপাতাল চালু করা সম্ভব হবে। সেই কাজ করতে প্রায় ১৫ দিন সময় লাগবে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, হরিরামপুর হাসপাতাল থেকে যাওয়া রোগীদের জন্য ১০টি বেড বরাদ্দ রাখা হয়েছে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটিতে। আরও কিছু বেড বাড়ানো যায় কি না তাও দেখা হচ্ছে। এদিন পেট ব্যথা নিয়ে স্কুলের আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে আসেন লুৎফর মিয়াঁ। তাঁর অভিযোগ, চিকিৎসক স্যালাইন দিয়ে বসিয়ে রাখেন। শরীর এতটাই দুর্বল যে বসে থাকতে পারছিলাম না। কিন্তু চিকিৎসক জানিয়ে দেন, অপেক্ষা করতে হবে। আরও দু’জন রোগী হলে তবেই একটা অ্যাম্বুলেন্সে করে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। শিবানী সরকার নামে আর এক রোগীর বক্তব্য, স্কুলে অস্থায়ী হাসপাতাল চালু হয়েছে জানতাম না। জল ভেঙে জ্বর গায়ে হাসপাতালে যাই। গিয়ে দেখি, দরজা বন্ধ। খোঁজখবর করে স্কুলের অস্থায়ী হাসপাতালে আসি। এভাবে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে শরীর আরও খারাপ লাগছে।  
হরিরামপুর হাইস্কুলে অস্থায়ী হাসপাতালে চলছে রোগীর চিকিৎসা। -নিজস্ব চিত্র

26th     September,   2023
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ