বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

‘অপারেশন’ সফল হলে ফাঁকা মাঠে মেহেফিল বসাত কুন্দন

সুখেন্দু পাল, বর্ধমান: কান ফাটানো শব্দে বাজছে ডিজে। নর্তকীরা ভোজপুরী গানের তালে কোমর দোলাচ্ছে। তাদের মাঝে সেভেন এমএম জাতীয় পিস্তল উঁচিয়ে এক যুবক নাচছে। কখনও শূন্যে ফায়ার করার কায়দায় পিস্তল ধরছে। আবার কখনও তা হাতে নিয়ে দোলাচ্ছে। বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার কল্যাণপুরের এমন ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিল বিহার পুলিস। তারা তদন্তে নেমে জানতে পারে, হাতে পিস্তল থাকা ওই যুবক কুখ্যাত দুষ্কৃতী। তার বিরুদ্ধে খুন, লুট সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু ওই দুষ্কৃতীই নয়, নদীয়ার রানাঘাটে ব্যাঙ্ক লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ায় কুন্দনও এরকমই ‘মেহেফিল’ বসাত। ব্যাঙ্ক বা সোনার দোকানে সফল ‘অপারেশন’ হলে গ্রামে ফাঁকা মাঠে আসর বসত। এলাহি বন্দোবস্ত থাকত সেখানে। বিভিন্ন জায়গা থেকে নতর্কীদের আনা হতো। দামি ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ সহ নেশার বিভিন্ন উপকরণ সেখানে থাকত। এছাড়া হোটেলেও ‘রেভ পার্টি’ বসত। 
ধৃত কুন্দন জেরায় জানিয়েছে, লুট বা খুনের সুপারির মোটা টাকা সে বিনোদনে খরচ করত। পার্টিতে তার গ্যাংয়ের সমস্ত সদস্য হাজির থাকত। সে অল্প বয়সিদের নিজেদের গ্যাংয়ে টানত। তাদের নিজেই প্রশিক্ষণ দিত। প্রতিটি অপারেশনে নতুন নতুন মুখ আনতে সে পছন্দ করত। কুন্দন নিজে সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র চালানোয় পারদর্শী ছিল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের কুখ্যাত দুষ্কৃতী নামী ব্র্যান্ডের পোশাক পরত। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের দামি প্রসাধনী ব্যবহার করত সে। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, কুন্দনকুমার যাদব নামে কুখ্যাত ওই দুষ্কৃতী বিহার থেকে এরাজ্যে এসেই বেশি অপরাধমূলক কাজ করেছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের একাধিক লুটের সঙ্গে সে যুক্ত রয়েছে। পুরুলিয়া, রায়গঞ্জ, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের আধিকারিকরা তাকে প্রাথমিকভাবে জেরা করেছে। বর্ধমান জেলা পুলিসও কুখ্যাত রাজু মাফিয়া খুনের ঘটনায় তাকে জেরা করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে শক্তিগড় থানার পুলিস বর্ধমানে এনে তাকে জেরা করবে। আর এক পুলিস আধিকারিক বলেন, কুন্দনদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা মোটেই ভালো ছিল না। তার বাবা শ্রমিকের কাজ করত। কিন্তু কুন্দন ১৮বছর বয়স হওয়ার আগে থেকেই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। সেই টাকায় বিলাসী জীবনযাপন শুরু করে। এলাকার এক ব্যবসায়ীকে তোলা চেয়ে সে অন্ধকার জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। ওই ব্যবসায়ী তোলা না দেওয়ায় তাঁকে লক্ষ্য করে সে গুলি চালায়। ওই ব্যবসায়ী প্রাণে বেঁচে গেলেও অন্ধকার জগতে কুন্দনের নাম ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকে তার তোলাবাজি বেড়ে যায়। পরে সে বাংলাকে টার্গেট করে। বিভিন্ন জায়গায় লুট করে মোটা টাকা সংগ্রহ করে কুন্দন। তবে বেশিরভাগ টাকা সে ‘মস্তি’ করতেই উড়িয়েছে। বিহারে মদ নিষিদ্ধ থাকায় সে মাঠেই অস্থায়ী ‘বার’ তৈরি করত। এছাড়া উত্তরপ্রদেশ, মুম্বই সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সে এবং তার দলবল পার্টিতে মজত।

26th     September,   2023
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ