বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

সাধারণ জ্বরেও প্লেটলেট ২৪ হাজার, কমছে হিমোগ্লোবিন!

বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: আজব কাণ্ড! ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, স্ক্রাব টাইফাস, টাইফয়েড কিছুই নেই। তাও প্লেটলেট কাউন্ট ৫০ হাজারের নীচে। কমল বারিক (নাম পরিবর্তিত), রঞ্জনা নস্করের (নাম পরিবর্তিত) মতো কয়েকজন রোগীর প্লেটলেট তো ২৪ হাজার, ৩৬ হাজারে এসে ঠেকেছে। পোড়খাওয়া চিকিৎসকরা পর্যন্ত অবাক। ভাইরাল জ্বরে প্লেটলেট কমে, কিন্তু এতটা কমতে কখনও দেখেননি তাঁরা। সাধারণ ডেঙ্গুতে হেমারেজ বা বাহ্যিক রক্তক্ষরণের চিহ্ন না থাকলেও দেখা যাচ্ছে, হুড়মুড় করে নেমে যাচ্ছে হিমোগ্লোবিন। সাড়ে পাঁচ, ছয় পর্যন্ত হয়ে পড়ছে। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের অন্তত ৭-৮ জন রোগীর রক্তের রিপোর্ট দেখে চিন্তায় পড়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের আশঙ্কা, প্রতি বছরই দেখা যাচ্ছে, চেনা ডেঙ্গু নানা অচেনা উপসর্গ নিয়ে হাজির হচ্ছে। ঠিক তেমনই অ্যাডিনো, রাইনো, আরএসভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি’র মতো সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশির ভাইরাস, কখনও কখনও শ্বাসকষ্টের মতো অদ্ভুত অদ্ভুত লক্ষণ নিয়ে এসে পড়েছে। কারণ দূষণ, নগরায়ন যাই হোক না কেন, এ নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত ফিজিশিয়ানরা। মেডিক্যাল কলেজ, এম আর বাঙ্গুর সহ সব হাসপাতালের সিনিয়র মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা ভাইরাসঘটিত রোগব্যাধির এই অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন। 
বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ কৌশিক মুখোপাধ্যায় বলেন, সাধারণ জ্বরে কখনও এমনভাবে প্লেটলেট কমে যাওয়ার ঘটনা দেখিনি। এক লক্ষ, এমনকী ৫০ হাজারের নীচেও নেমে যাচ্ছে। মূলত ২৫ থেকে ৩৫ বছরের বয়সিদের মধ্যে এমন দেখা যাচ্ছে। ফ্লুইড থেরাপি এবং আনুষঙ্গিক চিকিৎসায় ৭-১০ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। বিশিষ্ট ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডাঃ শুভব্রত পাল বলেন, এমনটা হচ্ছে। এত কম প্লেটলেট পাইনি। তবে সাধারণ জ্বরের চেনা ভাইরাসগুলি অচেনার মতো আচরণ করছে। আমার মতে, এর কারণ চারটি। এক, প্লেটলেট উৎপাদক কোষগুলিকে উৎপাদনে বাধা দিচ্ছে ভাইরাস। দুই, ভাইরাসকে আটকানোর জন্য রোগ প্রতিরোধ ব্য‌বস্থা তুমুল সক্রিয় হয়ে সাইটোকাইন স্টর্ম হচ্ছে। সে কারণে প্লেটলেট কমছে। তিন, ভাইরাস সংক্রমণের জন্য রক্তবাহী নালী থেকে প্লাজমার সঙ্গে প্লেটলেট বেরিয়ে যাচ্ছে। চার, অনেক সময় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় প্লেটলেট কমতে পারে। মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিনের প্রধান ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ বলেন, হেমারেজ বা রক্তক্ষরণ না হলেও ডেঙ্গুতে ইদানীং হিমোগ্লোবিন কমার ঘটনা দেখা যাচ্ছে। যেটুকু বুঝেছি, ‘ম্যাক্রোফাজ অ্যাকটিভেশন সিনড্রম’-এর জন্য এমনটা হচ্ছে। ডেঙ্গুতে বোন ম্যারো বা অস্থিমজ্জার ক্ষতি হয়ে এমনটা হয়।
চিকিৎসকরা বিজ্ঞানসম্মত যে যুক্তিই দিন না কেন, রূপায়ন হালদার, শ্রীকান্ত সমাদ্দার বা স্বপন দাসরা ডেঙ্গু আক্রান্ত না হয়েও রিপোর্ট দেখে থ। এত কম প্লেটলেট। স্বপ্ন দেখছি না তো? ঘোর কাটছে না তাঁদের। 

25th     September,   2023
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ