বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

প্রার্থী তালিকা সামনে রেখে পার্থর
বেহালার অফিসে বৈঠক করতেন ভদ্রকাকু
দাবি ইডির

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বেহালার অফিসে টেট ২০১৪ নিয়োগ নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কাকু। সুজয়বাবুর হাতে থাকত প্রার্থী তালিকা। তার মধ্যে থেকে ঠিক করা হতো টেট, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কাদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হবে। দীর্ঘ কাটাছেঁড়ার পর চূড়ান্ত হতো প্রার্থী তালিকা। এই দু’জন ছাড়াও ধৃত এসএসসির কর্ণধাররা এই বৈঠকে হাজির থেকেছেন। তদন্তে নেমে এই তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি ইডির। তবে পার্থর সঙ্গে বৈঠকের কথা কাকু অস্বীকার করেননি বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে যুবনেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর রাতে সুজয়ের বাড়িতে প্রার্থী তালিকা নিয়ে হাজির হতেন, তার তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
ইডি তদন্তে নেমে জেনেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। পার্থর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছাড়াও শিক্ষাদপ্তরের একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। তিনি এসএসসি দপ্তরে  নিয়মিত যেতেন। পরীক্ষার সূচি থেকে শুরু করে কী ধরনের প্রশ্ন হবে, এই নিয়ে তাঁদের সঙ্গে বসে ঠিক করতেন কাকু। সেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীও হাজির থাকতেন। তদন্তকারীরা এও জানতে পারছেন, চূড়ান্ত প্রশ্ন তৈরি হওয়ার পর তার একটি কপি তিনি নিয়ে আসতেন। তার ফটোকপি করে দিয়ে দিতেন এজেন্টদের কাছে। তদন্তে প্রকাশ, তাঁর প্রার্থীরা পরীক্ষায় বসায় তাঁদের ওএমআর শিটের বারকোড সংগ্রহ করতেন সুজয়বাবু। এরপর সেগুলি পাঠিয়ে দিতেন এসএসসি অফিসে। সেইমতো মূল্যায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কাছে তাঁর নির্দেশ যেত, সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের নামে একই বারকোডে ওএমআর শিট তৈরি করে ঩ফিল আপ করে দিতে। একইসঙ্গে সরিয়ে ফেলা হতো সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জমা পড়া আসল ওএমআর শিট। ইডি জেনেছে, সুজয়বাবুর বাড়িতে মাসে চারবার করে হাজির হতেন কুন্তল ও শান্তনু। সঙ্গে থাকত প্রার্থী তালিকা। গভীর রাত পর্যন্ত এই নিয়ে বৈঠক চলত তাঁদের মধ্যে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, কাকু রেট বেঁধে দিয়েছিলেন। টেটের জন্য প্রার্থীপিছু নেওয়া হতো আট থেকে দশ লক্ষ টাকা। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের জন্য রেট ছিল বারো থেকে পনেরো লক্ষ টাকা। সেইমতো প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতেন কুন্তল ও শান্তনু। অভিযোগ তা পৌঁছে যেত সুজয় ভদ্রের বাড়িতে। এরইসঙ্গে কুন্তল ও শান্তনুর সঙ্গে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক-লেনদেনের নথিও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তা ঘেঁটে তাঁরা দেখেছেন, টাকা সুজয়ের অ্যাকাউন্টে আসার পর আবার তা চলে গিয়েছে কুন্তল বা শান্তনুর অ্যাকাউন্টে। কেন তা আবার ফিরে গেল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। 

3rd     June,   2023
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ