বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

ইডির তদন্তে প্রকাশ চাঞ্চল্যকর তথ্য
জিরাটে শান্তনুর ধাবা আসলে 
কালো টাকা সাদা করার কল! 

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: জিরাট থেকে বলাগড় যাওয়ার রাস্তা। ঝাঁ চকচকে রাস্তার পাশে ঝাঁ চকচকে আধুনিক ধাবা। নামেও আধুনিক, দ্য স্পুন। রীতিমতো কেতাদুরস্ত সেই ধাবার খাবারদাবার ও পরিবেশনের কেতা ছিল দেখার মতো। কিন্তু ক্রেতা তেমন ছিল না। এমনটাই দাবি স্থানীয় মানুষের। আর নথি ঘেঁটে একই দাবি পেশ করছে ইডিও। হ্যাঁ, ধাবাটি নিয়োগ দুর্নীতিতে পাকড়াও বলাগড়ের দাপুটে নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইডির তদন্তকারীদের দাবি, ধাবাটি লোকচক্ষুর সামনে কেবলই একটি ‘কারখানা’। অবৈধ লেনদেনের টাকাকড়ি সেখানেই বৈধ করা হতো। ধাবার হিসাবপত্রের নথি থেকেই এমন ইঙ্গিত মিলছে।
ইডির তদন্তকারীদের দাবি, অবৈধ লেনদেনের টাকা ধাবার ব্যবসার আয়-ব্যয়ের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। তাতেই কালো টাকা হয়ে যেত সাদা। সেই কারণেই বিক্রিবাট্টা তেমন না-হলেও বিশেষ গা করেননি ইডির হাতে পাকড়াও নেতাটি। ধাবাটিকে আধুনিক ও কেতাদুরস্ত করে ফেলার পিছনেও কাজ করেছে সেই পরিকল্পনাই।
২০২১ সাল থেকে ওই ধাবায় লোক সমাগম শুরু হয়। কিন্তু স্থানীয় মানুষের দাবি, ভিড় তেমন থাকত না। কারণ, খাবারদাবারের দাম ছিল চড়া। মূলত ভিন জেলায় যাতায়ত করার ক্ষেত্রে কিছু পয়সাওয়ালা লোকজন সেখানে খাওয়াদাওয়া করতেন এবং একটু জিরিয়ে নিতেন। নেতার হোটেল বলে সেখানে মদ্যপানের সুযোগও ছিল। শান্তনুকে গ্রেপ্তারের পরে ইডি ওই ধাবাসহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায়। মূলত নিয়োগ-দুর্নীতির নথিপত্র ও টাকার খোঁজেই তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু সেসব মেলেনি। কিন্তু মিলেছে ধাবার প্রাত্যহিক আয়-ব্যয়ের খতিয়ান। প্রথমে বিষয়টিতে তেমন নজর না পড়লেও শেষপর্যন্ত ইডির তদন্তকারীদের কাছে ওই খতিয়ান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, ওই ধাবা নেহাতই নজর ঘোরানোর ফাঁদ। আসলে সেখানেই কালো টাকাকে সাদা করা হতো। এক ইডি অফিসার বলেন, খুব পরিকল্পিতভাবেই ধাবা করা হয়েছিল। সেখানে যেমন অনিয়মের টাকা ব্যবহৃত হয়েছে, তেমনি অবৈধ টাকা বৈধ করার কাজও চলেছে ওই ধাবার বিক্রিবাট্টার আড়ালে।
এই প্রসঙ্গেই সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে বলাগড়ের চাঁদরার বিলাসবহুল রিসর্ট নিয়ে। তবে তদন্তকারীদের আপাতত মত, সেখানে অবৈধ টাকা ব্যবহার হলেও তা কালো টাকা সাদা করার কল ছিল না। ওই রিসর্টকে ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় তৈরি করা হয়েছিল। বলাগড়েই রাজ্যের বৃহত্তম আর্ন্তজাতিক মানের ইকো ট্যুরিজম পার্ক হচ্ছে। সেই পার্ককে সামনে রেখেই ভবিষ্যতে পর্যটনের সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন ‘দূরদর্শী’ নেতাটি। তবে তার আগে নানাধরনের লেনদেন ও খাতিরদারির কাজে ওই রিসর্ট দেদার ব্যবহার হতো। 

30th     March,   2023
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ