বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

বাজেটে ১০০ দিনের কাজের বিকল্পের ভাবনা
নয়া প্রকল্প আনতে পারে রাজ্য

aনিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এক বছরের বেশি অতিক্রান্ত। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বাংলাকে এক টাকাও দেয়নি মোদি-শাহের সরকার। উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামবাংলার মানুষ। তবে হাত গুটিয়ে বসে নেই রাজ্য। গ্রামীণ এলাকার অদক্ষ শ্রমিকদের পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ তৈরি করে দিতে বিকল্প প্রকল্পের কথা ভাবছে নবান্ন। সেই স্কিম বা প্রকল্প হবে রাজ্যের নিজস্ব। কোভিড পরবর্তী সময়ে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তার উপর কেন্দ্রের কাছে পাওনা কোটি কোটি টাকা। এই আবহে  নতুন প্রকল্প আনতে গেলে বাড়তি অর্থের চাপ কীভাবে সামাল দেবে রাজ্য? ঋণের বোঝা কি আরও বাড়বে? নবান্নের শীর্ষমহল এখন বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দপ্তর থেকে ইতিবাচক সাড়া মিললেই শীর্ষমহলের সিলমোহর চাওয়া হবে। তখনই চূড়ান্ত হবে প্রকল্পের যাবতীয় পরিকল্পনা। ১০ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় আগামী অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাব পেশ করবে রাজ্য সরকার। সব ঠিক থাকলে আসন্ন বাজেটেই নয়া প্রকল্প প্রস্তাব আকারে সরকার পেশ করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। 
সম্প্রতি হাসিমারায় সরকারি সুবিধা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, হাজার বঞ্চনা হলেও বাংলা কারও কাছে হাত পাতবে না। তাঁর ওই ঘোষণার ভিত্তিতে সরকার নিজস্ব প্রকল্প আনার কথা ভাবছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শুধু তাই নয়। কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করেও পারিশ্রমিক পাননি অনেকে। তাঁদের সুরাহার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে সম্প্রতি বীরভূমের সভামঞ্চ থেকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। 
১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বাংলায় ৩৬ কোটি শ্রমদিবস তৈরি হয়েছিল। রাজ্যের নিজস্ব প্রকল্প চালু হলে কতজন উপভোক্তা কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন? সেক্ষেত্রে বছরে কত টাকা খরচ হতে পারে? কোন কোন কাজে তাঁদের লাগানো যেতে পারে? এসব বিষয়ে আগাম ধারণা নিয়েই মাঠে নামতে চাইছে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, কেন্দ্র টাকা না দিলেও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রকল্পে জব কার্ড হোল্ডারদের কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে রাজ্য। এভাবে ইতিমধ্যে ৪০ লক্ষের বেশি মানুষ কাজ পেয়েছেন। ১০ কোটির বেশি শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছে। মজুরি হিসেবে দেওয়া হয়েছে প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা। তবে যে প্রকল্প আনার ভাবনাচিন্তা চলছে, তাতে এভাবে যে কোনও দপ্তরে জব কার্ড হোল্ডারদের কাজ দেওয়া যাবে কি না, ঠিক হয়নি এখনও। সূত্রের খবর, রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হলেও মানুষের স্বার্থে বাজেটে চলতি প্রকল্পগুলির উপর কোপ পড়ার আশঙ্কা নেই। 
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের বিকল্প হিসেবে রাজ্যের নিজস্ব প্রকল্পের আলাদা রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। দীর্ঘদিন ধরে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকায় মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ জমেছে, তা ভোটবাক্সে কাজে লাগাতে নেমে পড়েছে বিজেপি সহ বিরোধীরা। তৃণমূল সরকারের ত্রুটির জন্যই এই অবস্থা বলে প্রচার করছে তারা। সেক্ষেত্রে ঠিক পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য নিজেই যদি বিকল্প একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে পারে, তা শাসক দল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরেকটি মাস্টারস্ট্রোক হবে। তাই এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও নয়া স্কিম আসার সম্ভাবনা যথেষ্ট বলে দাবি ওই বিশেষজ্ঞদের।

6th     February,   2023
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ