বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে বরাদ্দ কমিয়েছে
মোদি সরকার, তোপ তৃণমূল নেতৃত্বের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটকে টার্গেট করেছে বিজেপি, অথচ কেন্দ্রের বাজেটে তাদের সঙ্গেই বঞ্চনা করল মোদি সরকার। এক ধাক্কায় এবারের বাজেটে সংখ্যালঘু উন্নয়ন খাতে ব্যয় বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হল ৩৮ শতাংশ। বিজেপি থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন ক্রমশ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলেই মোদি সরকারের এই অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ বলে মত নানা মহলের। যদিও সমাজের ওই অংশের মন জয় করতে ইদানিং প্রকাশ্যে নানা ‘দরদি’ মন্তব্য করছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। পাল্টা তৃণমূল বলছে, ওটা মেকি দরদ।
মুখে ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ বলা হলেও, বাস্তবে তার সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি সামনে এল এবারের কেন্দ্রের বাজেটে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সংখ্যালঘু উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাজেটে বরাদ্দ হয়েছিল ৫০২০.৫০ কোটি টাকা। এবারে তাতে কোপ পড়েছে বিরাট মাত্রায়। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বাজেটে সংখ্যালঘু উন্নয়নের ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হয়েছে ৩০৯৭.৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ কমেছে ৩৮ শতাংশ। এছাড়া বাজেটে মাদ্রাসা শিক্ষাতেও কমেছে বরাদ্দের অঙ্ক। আগে ছিল ১৬০ কোটি টাকা। ১৫০ কোটি কেটে তা হয়েছে মাত্র ১০ কোটি টাকা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কেন্দ্রের সরকার বিন্দুমাত্র ভাবনা-চিন্তা করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজনীতির কারবারীরা এটা বলছেন, কোনও সম্প্রদায়ের উন্নয়নে যদি কোনও ভাবনাচিন্তা থাকত, তাহলে নতুন কিছু ঘোষণা সামনে আনত কেন্দ্রের সরকার। কিন্তু তা বাজেটের ছবিতে দেখা গেল না। বাজেট বরাদ্দ যেমন কমল, তেমনই মাদ্রাসা শিক্ষাকেও কেন্দ্র এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী নয়, তার ছবি ধরা পড়েছে বাজেটে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাংলায় বিজেপিকে ইদানিং দেখা যাচ্ছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আরও কাছে ঘেঁষতে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের ব্যাখ্যা, বাংলায় ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন রয়েছেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে সংখ্যালঘুরা কী পেয়েছেন? কেন্দ্রের সরকার অনেক প্রকল্প নিলেও, বাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন বঞ্চিত। দিলীপবাবু এই অভিযোগও করেছেন, বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কে ভয় পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। সারা দেশে বিজেপি আছে, শুধু বাংলায় অন্য পরিবেশ তৈরির চেষ্টা। বিজেপির এই বক্তব্যের জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের তরফে বলা হয়েছে, বাংলার মানুষ বিভাজন চান না। তাই সব সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূলের উপরই আস্থা রাখেন। আর সেটাতেও আতঙ্কিত গেরুয়া শিবির। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের প্রশ্ন, বিজেপির সংখ্যালঘু মুখ কোথায়? তাঁর আরও সংযোজন, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করে বিজেপি। গুজরাতে খুন করা হয়েছে, দিল্লিতে রক্তাক্ত পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। বিজেপি এখন সংখ্যালঘু ভোট চাইছে, কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ মানুষজন ওদের সমর্থন করে না। 

4th     February,   2023
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ