বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

লিজের জমির মালিকানা স্বত্ব দিতে 
আইনে সংশোধনী আনছে নবান্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কেএমডিএ সহ রাজ্যের ২১টি উন্নয়ন সংস্থার অধীনে লিজে থাকা জমির মালিকানাস্বত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তার জন্য ইতিমধ্যে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের অন্যান্য দপ্তরের অধীনে লিজে থাকা জমির মালিকানাস্বত্ব দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা। এর জন্য আগামী বাজেট অধিবেশনেই ১৯৫৫ সালের ভূমিসংস্কার আইনে সংশোধনী আনতে চলেছে সরকার। বাজেট অধিবেশন বসছে ৮ ফেব্রুয়ারি। অতীতে একাধিকবার এই আইনে সংশোধনী যুক্ত করা হয়েছে। তবে জমি 
লিজ সংক্রান্ত যে আইন আছে, স্বাধীনতার পর এই প্রথম তাতে সংশোধনী আনা হচ্ছে। সরকারের দাবি, এর ফলে উপকৃত হবেন লক্ষাধিক মানুষ ও বিভিন্ন শিল্পসংস্থা। বাড়বে রাজ্যের আয়ও। 
প্রশাসনিক মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৫৫ সালের ভূমিসংস্কার আইনের ভিত্তিতে ১৯৬৫ সাল নাগাদ তৈরি হয়েছিল ‘ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ম্যানুয়াল’। রাজ্য সরকার কীভাবে নিজস্ব জমি বণ্টন করতে পারবে বা স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি লিজ দিতে পারবে, তা ব্যাখ্যা করা হয় এতে। কিন্তু এ বিষয়ে রাজ্যের কোনও নির্দিষ্ট নীতি ছিল না। ২০০২ সালে জমি বণ্টন ও লিজ দেওয়া নিয়ে একটি নির্দিষ্ট পলিসি বা নীতি নিয়ে আসে রাজ্য সরকার। নাম দেওয়া হয় ‘ভূমি প্রদান নীতি’। ‘ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ম্যানুয়াল’-এর উপর ভিত্তি করেই নয়া নীতি তৈরি ও সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল সরকার। ২০১৬ সালে এই নীতিতে কিছু রদবদল করা হয়। কিন্তু এই 
প্রথম রাজ্য সরকার বিধানসভায় বিল এনে ১৯৫৫ সালের আইনে সংশোধনীর মাধ্যমে লিজে দেওয়া জমি ফ্রি হোল্ড বা বিক্রির পথে হাঁটছে। 
এক পদস্থ আধিকারিক জানান, জমি লিজ নেওয়ার সময় তখনকার বাজার দরের ৯৫ শতাংশ টাকা সেলামি হিসেবে দিতে হয়েছিল লিজ প্রাপককে।  সেই সঙ্গে ভাড়া বাবদ প্রতি বছর জমির মূল্যের ০.৪ শতাংশ হারে টাকা দিতে হয় রাজ্যকে। মালিকানাস্বত্ব পেতে গেলে জমির বর্তমান বাজারদরের ১০ শতাংশ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে আবেদনকারীদের। এভাবে জমির মালিকানা পেয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থা লিজ পুনর্নবীকরণ বা প্রতি বছর ভাড়া দেওয়ার ঝক্কি থেকে মুক্ত হতে পারবেন। লিজে পাওয়া জমি অন্যকে ব্যবহার করতে দিলে রাজ্যের অনুমতির প্রয়োজন হতো। ব্যাঙ্কের ঋণ পেতেও যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হতো। জমির মালিকানাস্বত্ব পেয়ে গেলে এসব সমস্যা আর থাকবে না বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল। শিল্পদপ্তরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, একটি প্রকল্প করতে গেলে জমির জন্যই খরচ হয় প্রায় ৩০ শতাংশ টাকা। ফলে জমির মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন থাকলে স্বাভাবিকভাবেই বিনিয়োগ করতে গিয়ে একটা খটকা থেকে যায়। নয়া আইন চালু হলে সেই আশঙ্কাও থাকবে না। 

29th     January,   2023
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ