বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

অমর্ত্য সেন নোবেল জয়ী নন,
বিস্ফোরক মন্তব্য বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর

সংবাদদাতা, বোলপুর: নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তরজা অব্যাহত। লোকটার চিন্তা ভাবনা দেখে বিমর্ষ হয়ে পড়েছি অমর্ত্য সেনের এই কথার জবাবে উপাচার্য বলেন উনি নোবেল লরিয়েট নন। উনি নিজেকে নোবেল বিজয়ী বলে দাবি করেন, কিন্তু সেটা সঠিক নয়। উপাচার্যের এই বক্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে শান্তিনিকেতনে। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করেন বিশ্বভারতীর আন্দোলনকারী পড়ুয়া ও অধ্যাপকরা। ঘন্টাখানেকের সেই আলোচনায় উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা প্রসঙ্গ। সব কথা শোনার পর অমর্ত্য সেনকে উদ্বিগ্ন মনে হয়। বিশ্বভারতীর এই সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে? সেই নিয়েই বারবার নানা প্রশ্ন উঠে আসে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্বভারতীর বিষয় নিয়ে আমি খুব চিন্তিত। হাইকোর্টের বিচারপতিরা কী এই উপাচার্যের বিষয়ে অবগত আছেন? উপাচার্যের বিরুদ্ধে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেক্সুয়াল মামলা কী ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে?’ জানতে চান অমর্ত্য সেন। সেই আলোচনায় জমি প্রসঙ্গ উঠে এলে তিনি বলেন, ‘তাঁর বাড়ির কিছুটা অংশ বিশ্বভারতীর লিজ নেওয়া জমি এবং পরে বাকি অংশ কেনা হয়েছে। দিল্লির অনেকেই আমাকে পছন্দ করেন না। তারাও এর পিছনে থাকতে পারে। এছাড়া সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি একদিন নিজে উপাচার্যের বাড়ি গিয়ে বলব যে এই বাড়ি আমার পিতামহ (ক্ষিতিমোহন সেন) কিনেছিলেন এবং মাপজোক করাতে চাই। এ বিষয়ে আদালতে যাবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতে গিয়ে কোনও লোভ নেই। তবে আমার উকিলের চিঠি একবার গিয়েছে, এবারও যাবে। তবে, সব কিছু ছাপিয়ে সাধারণতন্ত্র দিবসের সন্ধ্যায় বিশেষ উপাসনা শেষে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘উপাচার্য হিসেবে বিশ্বভারতীর জমি উদ্ধার করা নৈতিক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। ওকে চিঠি দেওয়ার উদ্দেশ্য অপমান করা নয়। উনি নমস্য। কিন্তু নোবেল বিজয়ী নন। কারণ নোবেলের ডিডে লেখা আছে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, মেডিসিন, সাহিত্য ও বিশ্ব শান্তি- এই পাঁচ বিভাগেই নোবেল পাওয়া যায়। এর বাইরে কেউ নোবেল প্রাইজ পাবেন না।  কিন্তু পরবর্তী কালে সুইডেন সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এগিয়ে এসে বলে, নোবেল প্রাইজের যে পয়সা আমরা দেব। সেটা একটা প্রাইজ। সেখানে লেখা আছে দিজ আওয়ার্ড ইজ গিভেন টু সামবডি ইন মেমোরি অফ আলফ্রেড নোবেল। তাই তথ্যের দিক থেকে কেউ যদি দাবি করেন উনি নোবেল প্রাপক, তাহলে তিনি ভুল করবেন। আর আমি ওঁনাকে বলবো কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি বন্ধ করে বিশ্বভারতীর যে জমি কব্জা করে রেখেছেন আলোচনার মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান করুন। আমি বিশ্বাস করি অধ্যাপক সেনের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আদালতে গেলে উনি যে ঠিক কথা বলছেন না তা প্রমাণিত হবেই। আমাদের কাছে দলিল রয়েছে। উল্লেখ্য, অমর্ত্য সেনের নোবেল বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগেও অনেকে দাবি করেছিলেন উনি নোবেল প্রাপক নন। পণ্ডিতরা অবশ্য সেটিকে অসত্য বলে খারিজ করে দিয়েছেন। কারণ সুইডেন সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক পুরস্কার শুরু করলেও নোবেল কমিটি অমর্ত্য সেনকে  নোবেল জয়ী বলেই ঘোষণা করেছেন। তাই উপাচার্যের যুক্তি বিভ্রান্তিকর বলে মনে করছেন অনেকেই। ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, সারা বিশ্ব জানে অমর্ত্য সেন নোবেল প্রাপক। উপাচার্য হয়ত বেশি বুদ্ধিমান, তাই মানতে চাইছেন না। এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।

27th     January,   2023
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ