বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

স্বচ্ছ পরীক্ষার স্বার্থে প্রযুক্তি, টেটে
রাজ্যের খরচ ছাড়াচ্ছে ৭০ কোটি

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শূন্যপদ ১১ হাজার। আবেদনকারী প্রায় ৭ লক্ষ। ১১ ডিসেম্বর হতে চলা প্রাথমিকে নিয়োগের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেটের এই হচ্ছে সমীকরণ। কিন্তু সংখ্যাতত্ত্ব নয়, প্রশাসন মরিয়া স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা আয়োজন করতে। যেজন্য নেওয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য। আয়ের চেয়ে প্রায় দশগুণ বেশি খরচ হলেও, স্বচ্ছতার স্বার্থে পিছু হটতে নারাজ রাজ্য প্রশাসন। কারণ, মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক বা গত সপ্তাহে হওয়া ডিএলএড পরীক্ষার প্রশ্ন হোয়াটসঅ্যাপে ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ আছে। টেট নিয়ে তাই আগে থেকেই বিশেষ সতর্কতা। 
কী কী নিরাপত্তা নেওয়া হচ্ছে টেটে? জানা গিয়েছে, সহস্রাধিক পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সশরীরে নজরদারির পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা এবং হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর থাকছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে কেউ যাতে অসাধু উপায় অবলম্বন না করতে পারেন, সেজন্য প্রযুক্তির সাহায্য নেবে পর্ষদ। বাছাই করা কিছু কেন্দ্রে থাকবে ইন্টারনেট জ্যামার। পরীক্ষাকেন্দ্রে স্মার্ট ওয়াচ, মোবাইল, ক্যালকুলেটর সহ সব ধরনের বৈদ্যুতিন সামগ্রীর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। এছাড়া, প্রশ্নপত্র ছাপা, তা পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া, উত্তরপত্র বয়ে আনা, পরীক্ষকদের সাম্মানিক, যাঁরা খাতা দেখবেন তাঁদের ফি বাবদ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তার খরচ। এখানেই শেষ নয়, যাঁরা টেট পাস করবেন তাঁদের নিয়োগের আগে হবে ইন্টারভিউ। গোটা সাক্ষাৎপর্ব ভিডিওগ্রাফি হবে। সেই খাতেও হবে বাড়তি খরচ। সব মিলিয়ে রাজ্যের খরচ ছাড়াচ্ছে ৭০ কোটি। 
এবারের টেটে আবেদন ফি বাবদ সাধারণ প্রার্থী ও সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীদের থেকে নেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ১৫০ ও ১০০ টাকা। অর্থাৎ, শিক্ষক নিয়োগের এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় বাকি ভর্তুকি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক গৌতম পাল বলেন, ‘প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য আমাদের খরচ হবে অন্তত এক হাজার টাকা। স্বচ্ছতার স্বার্থেই প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। আবেদন ফি বাবদ যে টাকা এসেছে, খরচ হচ্ছে তার তুলনায় প্রায় দশগুণ বেশি।’ পর্ষদের অধীনে পরীক্ষা হলেও, সুষ্ঠুভাবে টেট আয়োজনের জন্য জেলাশাসকদের কাছে বিশেষ নির্দেশ গিয়েছে নবান্নের তরফে। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির বাইরে ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি পুলিস যাতে সক্রিয় থাকে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে পুলিস সুপার ও কমিশনারদের।
২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে টেট আবেদনকারী ছিলেন ২০ লক্ষের বেশি। ২০১৭ সালে বিজ্ঞপ্তির পর আবেদনকারীর সংখ্যা কমে দাঁড়ায় আড়াই লক্ষের কাছাকাছি। দু’টি পরীক্ষাই নেওয়া হয় বেশ দেরিতে। ২০১৭ সালের পরীক্ষা হয় ২০২১ সালে। ফল প্রকাশ হয় পরের বছর। কিন্তু এবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও পরীক্ষা গ্রহণ হচ্ছে একই বছরে। স্বচ্ছভাবে তা আয়োজন করতে কোমর বেঁধেছে রাজ্য প্রশাসন। 

2nd     December,   2022
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ