বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

কয়লা-গোরু পাচারের টাকা ‘সাদা’ করতে 
খোলা হয়েছিল তিনশোর বেশি অ্যাকাউন্ট
তথ্য ইডির হাতে

শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা: কয়লা-গোরু পাচারের টাকা ‘সাদা’ করার জন্য ব্যবহার হয়েছে তিনশোর বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এর মধ্যে বেশকিছু অ্যাকাউন্ট আবার ভিন রাজ্যের। মৃত ব্যক্তির বা জাল নথি ব্যবহার করে খোলা হয়েছিল এই অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্টগুলি খোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বিনয় মিশ্র ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের। তদন্তে নেমে এই তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই অ্যাকাউন্টগুলির তথ্য বিশ্লেষণের কাজ প্রায় শেষ। প্রাথমিকভাবে তারা জেনেছে, এর মাধ্যমে  ৩৫০ থেকে ৪০০  কোটি টাকা ‘ঘোরানো’ হয়েছে। 
কয়লা-গোরু পাচার কাণ্ডের কিং পিন বিনয় মিশ্র এখনও অধরা।  তাঁর খুব কাছাকাছি তদন্তকারীরা পৌঁছে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।  তদন্তে উঠে এসেছে, বেআইনি কয়লা পাচারের টাকা যেত বিনয়ের কাছে। গোরু পাচারের টাকাও এনামূলের মাধ্যমে বিনয়ের কাছে গিয়েছে বলে জেনেছে তদন্তকারী সংস্থা। একইসঙ্গে কয়লা পাচারের মামলায় ইডির হাতে ধৃত রাজ্য পুলিসের এক ইনসপেক্টর এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ  তথ্য দিয়ে গিয়েছেন।
 এই বিপুল পরিমাণ কালো টাকা কীভাবে সাদা হল, তাই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। জানা যায়, ৫০টিরও বেশি কোম্পানি তৈরি করে এই টাকা ঢোকানো হয়েছে। পরে সেখান থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। কলকাতার ঠিকানায় কোম্পানি ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, বিহার সহ বিভিন্ন রাজ্যের ঠিকানায় কোম্পানি খোলা হয়েছে।  ডিরেক্টর হিসেবে দেখানো হয়েছে সেখানকার বাসিন্দা কোনও ব্যক্তিকে। এই সমস্ত কোম্পানির নথি খতিয়ে দেখে ইডি জেনেছে,  সবকটি কাগুজে কোম্পানি।  গোটা পরিকল্পনাটি ছিল বিনয় ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের মস্তিষ্কপ্রসূত।  তদন্তে উঠে আসে, কোম্পানির টাকা প্রাইভেট অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। আবার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের টাকা ওই কাগুজে কোম্পানিতে চলে এসেছে। এখান থেকেই ইডি অফিসাররা নিশ্চিত হন, দুয়ের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে।
যে সমস্ত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয়েছে, তার সমস্ত নথি জোগাড় করা হয়। এগুলি নিয়ে ইডির দিল্লি অফিসে কাটাছেঁড়া শুরু করেন তদন্তকারী অফিসাররা এবং অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ৩০০’র বেশি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা ঘোরানো হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলি ‘ফ্রিজ’ করা হয়েছে। তবে আরও কিছু অ্যাকাউন্টের তথ্য আসছে। তাই সংখ্যাটা ৫০০ ছুঁয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে উঠে এসেছে, ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের একাংশ বিনয় মিশ্র সহ চক্রের অন্যদের অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্য করেছেন। সংশ্লিষ্ট অফিসারদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের খুব শীঘ্রই দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়ে জেরা শুরু হবে ইডি সূত্রে খবর।

2nd     December,   2022
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ