বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

হাসানের বাড়িতে আসত ‘মেহমান’রা,
জঙ্গি সন্দেহে ঘুম উড়েছে আরামবাগের  

নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: আহসান উল্লার সঙ্গে আসা ‘মেহমান’রাও কী আল কায়দা জঙ্গি? এমন প্রশ্নকে ঘিরে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে আরামবাগে। চিন্তায় পুলিস-প্রশাসনও। উদ্বেগের কারণ একটাই—‘আরামবাগে জঙ্গি-যোগের গভীরতা ঠিক কতটা! সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে এলাকার আর কেউ জড়িয়ে নেই তো!’ 
স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর তথ্য বলছে, সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিরা প্রথমে দক্ষিণ দিনাজপুরে আসত। সেখান থেকে তাদের গন্তব্য ছিল আরামবাগ। আপাত শান্ত এই এলাকাকে তারা করিডর হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টাতেও ছিল। তাই আরামবাগে ঘাঁটি গেড়ে তারা ছড়িয়ে পড়ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অভিযোগ, জঙ্গিদের ‘আশ্রয়দাতা’র ভূমিকায় ছিল ধৃত আহসান ওরফে হাসান। হাসানের মা ফরিদা বেগমও জানাচ্ছেন, ছেলের সঙ্গে ‘মেহমানরা’ আসত। যথাসময়ে তাদের জন্য চা-জলখাবার পৌঁছে দিতেন তিনি। তবে তাদের সঙ্গে দেখা হয়নি কোনওদিন। গ্রামের লোকেরা আগুন্তুকদের দেখলেও বিশেষ মাথা ঘামাতেন না। তাঁরাও মনে করতেন ওঁরা নিশ্চয় হাসানের বাড়ির ‘মেহমান’ বা অতিথি। আর এই ‘মেহমান’ বেশধারী আগুন্তুকরা আসলে আল কায়দার সক্রিয় সদস্য কি না, সেটা জানাই এখন এসটিএফের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।  
সামতা গ্ৰামের ধান জমি লাগোয়া মাদ্রাসার শিক্ষক সফি উল্লার দোতলা পাকা বাড়ি। গাছগাছালিতে ঘেরা মুফতি সাহেবের এই বাড়ি বেশ ছিমছাম। এখন অবশ্য এলাকায় বাড়িটির পরিচয় হয়ে উঠেছে আল কায়দার ঘাঁটি বলে। গড়ের ঘাট যাওয়ার মূল রাস্তা থেকে সামতা মোড়। সেখান থেকে সহজেই পৌঁছনো যায় এই গ্ৰামে। এতদিন যে বাড়িকে মুফতি সাহেবের বাড়ি বলে চিনতেন গ্রামবাসীরা, তাঁরাই এখন বলছেন, ‘ও আচ্ছা, হাসানের বাড়ি যাবেন। ওই তো মাঠের পাশে।’ বলছেন বটে, তবে সবার মুখেই আতঙ্কের ছাপ। কথা হচ্ছিল সেখ নিজামুদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, ‘হাসানের গ্রেপ্তারের ঘটনায় চারপাশে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। দু’দিনে গ্রামের পরিবেশ বদলে গিয়েছে।’ আরামবাগ শহর থেকে অনেকটা দূরে সামতা গ্রাম। গ্রামের অধিকাংশ মানুষের মূল জীবিকা চাষবাস কিংবা ছোটখাটো কাজ-কারবার। আল কায়দা অথবা লাদেনের নাম হয়তো শুনেছেন। কিন্তু তার বেশি গ্ৰামবাসীদের এই সংগঠনের কার্যকলাপ নিয়ে কোনও ধারণাই নেই। তবে, জেলায় নিষিদ্ধ সংগঠনের সক্রিয়তা যে বাড়ছে, তা মানছেন পুলিস প্রশাসনের আধিকারিকরা। ২০২০ সালে ধনিয়াখালি থানার পশ্চিম কেশবপুরের বাসিন্দা জন্মসূত্রে হিন্দু প্রজ্ঞা দেবনাথ ওরফে আয়েশা জান্নাত মোহনা বা জান্নাতুত তাসনিমকে বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিস গ্ৰেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে নব্য জেএমবি সংগঠনের সদস্যা। ওমান প্রবাসী এক বাংলাদেশীকে বিয়ে করে সে ধর্মান্তরিত হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে নিয়মিত যাতায়াত করত তাসনিম। পশ্চিমবঙ্গে সংগঠনের শাখাপ্রশাখা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজেও যুক্ত ছিল সে। এবার আল কায়দার মতো কট্টরপন্থী সংগঠনে যুক্ত আরামবাগের যুবকের নাম উঠে এল। 

20th     August,   2022
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ