বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

বহু শিক্ষক বদলি হলেও আটকে
চাকরির অ্যাপ্রুভাল, উঠছে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বদলি হওয়ার পরেও স্বস্তি নেই। স্কুলের ভুলেই উৎসশ্রী পোর্টালে উঠেছিল ভুল বিষয়ের শূন্যপদ। তা দেখে কাজে যোগ দেওয়ার পর নজরে আসে ঘটনা। বিপত্তির শুরু সেখানেই। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক যে বিষয়ের শূন্যপদে যোগ দিয়েছেন, তা আসলে ‘শূন্য’ নয়। তাতে পর্যাপ্ত শিক্ষক ইতিমধ্যেই রয়েছেন। বরং শূন্যপদ রয়েছে অন্য বিষয়ে। একইভাবে কেউ মাধ্যমিক বা নর্মাল সেকশনে যোগ দেওয়ার পর জানতে পারছেন, আসলে শূন্যপদ রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে। এই পাকেচক্রে এমন বহু শিক্ষক ঘুরে বেড়াচ্ছেন ডিআই এবং শিক্ষাদপ্তরের দরজায়। এই দায় কার, তা চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বেতন পেলেও তাঁদের চাকরির অ্যাপ্রুভাল মিলছে না। সব মিলিয়ে চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষকরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের একটি স্কুলের গণিতের শিক্ষক গোবিন্দ পাল নিজের জয়েনিংয়ের অঙ্কটাই মেলাতে পারছেন না। উৎসশ্রী পোর্টালে আবেদন করে ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি একটি স্কুলে যোগ দেন। অ্যাপ্রুভালের কাগজপত্র ডিআই অফিসে যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন, সেখানকার তথ্য অনুযায়ী ওই স্কুলে শূন্যপদ রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে। তাই, তাঁকে অ্যাপ্রুভাল দেওয়া সম্ভব হবে না। ডিআই অফিস সূত্রে জানানো হয়, স্কুলের তরফেই ভুল হয়েছে। যদি, তিনি অন্য স্কুলে শূন্যপদের খোঁজ আনতে পারেন, তাহলে সেখানে তাঁকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বদলি করা যেতে পারে। গোবিন্দবাবুর প্রশ্ন, স্কুল ভুল করলেও কোনও স্তরে সেটা চোখ পড়ল না কেন? আর নতুন স্কুলে নর্মাল সেকশনে কোনও গণিতের শিক্ষক নেই। সেটা কেন কোনওভাবে অ্যাডজাস্ট করা যাচ্ছে না? চাকরি সামলাব, নাকি স্কুলে স্কুলে ঘুরে শূন্যপদ খুঁজব?
প্রায় একই সমস্যায় পড়েছেন আপস বদলির মাধ্যমে উত্তর ২৪ পরগনার একটি স্কুলে যোগ দেওয়া গণিতের শিক্ষক মুরাদ শেখ। ২০১৮ সালে তিনি যে স্কুলে চাকরি পান, সেখানে শূন্যপদ আসলে ছিল নর্মাল সেকশনে। অথচ, কাউন্সেলিংয়ের সময় সেটিকে উচ্চ মাধ্যমিকের শূন্যপদ হিসেবে দেখানো হয়েছিল। পরবর্তীতে তাঁর পোস্টটি সংশোধন করে উচ্চ মাধ্যমিক করে দেওয়ার পরে তখনকার মতো সমস্যা মেটে। তবে, ডিসেম্বরে বারাসতের স্কুলে যোগদানের পরে তিনি জানতে পারেন, সেখানকার শূন্যপদ আসলে উচ্চ মাধ্যমিকের হলেও মুরাদ শেখের পোস্টটি খাতায়-কলমে নর্মাল সেকশনেই রয়ে গিয়েছে। অ্যাপ্রুভাল নিতে হলে তাঁকে নর্মাল সেকশনেই নিতে হবে। আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় একটি স্কুলে এমন শিক্ষিকা এডুকেশন পোস্টের জন্য গিয়েছেন, যেখানে সেই বিষয়টি পড়ানোই হয় না। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ মণ্ডল বলেন, শিক্ষকরা ভুল না করেও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এর সুরাহা শিক্ষাদপ্তরকেই করতে হবে।

7th     August,   2022
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ