বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

তিন বিধায়কের চাকরির সুপারিশপত্র হাইকোর্টে
ভুল প্রশ্নের প্রাপ্য নম্বর সবাইকে
দেওয়া হয়নি, মেনে নিল পর্ষদই

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভুল ছিল প্রশ্নই। তা নিয়ে মামলার জেরে নম্বর দিতে বাধ্য হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৪ সালের টেটের সব পরীক্ষার্থীরই ফলে তা যোগ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই প্রাপ্য নম্বর দেওয়া হয়নি। বৈষম্যের শিকার হয়েছেন সিংহভাগই। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মৌখিকভাবে একথা মেনে নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যদিও এর নেপথ্যে কোনও অপরাধমূলক মানসিকতা নেই বলে দাবি করেছেন তাদের আইনজীবী। তবে সেই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়নি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির সিবিআই তদন্তেও তাই স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত। ফলে রীতিমতো অস্বস্তিতে পর্ষদ। অন্যদিকে, ওই টেট সংক্রান্ত সামগ্রিক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সিবিআই তদন্তের আওতায় আনার দাবিতে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। এদিন তার শুনানিতে দুর্নীতির জন্য শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের দিকে আঙুল তুলেছেন মামলাকারী বিজেপি নেতার আইনজীবী। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের তিনজন তৎকালীন বিধায়ক পছন্দের প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। এর মধ্যে একজন বর্তমানে রামনগরের এমএলএ তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। বাকি দু’জন অসীম মাঝি এবং মুকুল রায়-পুত্র শুভ্রাংশু। তাঁদের পাঠানো সেই সুপারিশপত্রও পেশ করা হয় এজলাসে।
উল্লেখ্য, ভুল প্রশ্নের প্রাপ্ত নম্বরের সুবাদেই ২৬৯ জন টেট-উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। সেই নিয়োগ ঘিরে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। বরখাস্ত করা হয় ওই ২৬৯ জনকে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অন্যান্য মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই সব নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ১৯টি আবেদনের শুনানি চলছে বিচারপতি তালুকদারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত সব পক্ষকে লিখিতভাবে বক্তব্য পেশ করতে বলেছিল। কিন্তু, পর্ষদ এদিন তা পেশ করেনি। ক্ষুব্ধ বেঞ্চ জানায়, ‘বক্তব্য এখনি পেশ করতে পারলে করুন, না পারলে নিজেদের হেফাজতেই রাখুন।’ তখন নিজেদের ভুল মৌখিকভাবে মেনে নেন পর্ষদের আইনজীবী। তবে একইসঙ্গে তিনি জানান, সিবিআই তদন্তের কোনও প্রয়োজন নেই। তা শুনে বেঞ্চের বক্তব্য, এটি ক্লাস টেস্ট নয়। কাউকে নম্বর দেওয়া হল, কাউকে হল না। পরে বৈষম্য সামনে আসতে বাকিদেরও নম্বর দিয়ে দেওয়া হল। এমন পরিস্থিতিতে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু, নিজেদের অনিয়মের তদন্ত নিজেরাই করবেন, এটা হতে পারে না। তাই সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। আগামী কাল, ৭ জুলাই মামলাগুলির পরবর্তী শুনানি। 
অন্যদিকে, বিজেপি নেতার দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের নাম, রোল নম্বর উল্লেখ করে তৃণমূলের তিন তৎকালীন বিধায়ক সুপারিশপত্র পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়। এর পিছনে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের হদিশ করতে ইডিকেও দায়িত্ব দেওয়ার আর্জি পেশ করা হয়েছে। এই অভিযোগের জবাবে এদিন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, ‘আমার লেটারহেড অন্য কেউ ছাপিয়ে এই কাজ করতে পারে। তাতে আমার স্বাক্ষর রয়েছে কি না সেটা দেখতে হবে।’ একই দাবি অসীম মাঝির। প্রাক্তন বিধায়কের দাবি, ‘আদালতে যে চিঠিটি জমা পড়েছে বলা হচ্ছে, তা আমি দেখিনি। ফলে এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না। আদালত কিংবা তদন্তকারী সংস্থা জানতে চাইলে উত্তর দেব।’ শুভ্রাংশু অবশ্য বলেন, ‘একটি লেটার হেডে রেফারেন্স নম্বর থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে বুঝলাম, লেটার হেডটি আমার নয়। হাতের লেখাও আমার নয়। বিধায়কের স্ট্যাম্প যে কেউ তৈরি করে নিতে পারে।’ 

6th     July,   2022
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ