নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আজ, বুধবার দুই পুত্রবধূর বউভাতের প্রীতিভোজে অতিথি আপ্যায়নে স্ত্রী নিয়তিকে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্ব সামলাবেন ছত্রধর মাহাত। তবে জঙ্গলমহলে ঝাড়গ্রামের লালগড় আমলিয়া গ্রামে এই নেতার বাড়িতে অনুষ্ঠান  চলবে এনআইএর নজরদারিতে। অতিথি অভ্যাগতদের উপর নজর রাখবে লালগড় থানা। আদালতের নির্দেশ সম্পর্কে সতর্ক ছত্রধরও। সোমবার লালগড় থানার তরফে এনআইএ আদালতকে দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটি আইন মাফিকই হচ্ছে। শুভ অনুষ্ঠান ভালোয় ভালোয় মিটুক, চায় মাহাত পরিবার।
এক যুগ আগে রাজধানী এক্সপ্রেসের চালক অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত ছত্রধর প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন। তাঁর দুই ছেলে ধৃতিপ্রসাদ ও দেবীপ্রসাদের বিয়ে উপলক্ষে সম্প্রতি তিনি প্যারোলে মুক্তির আর্জি জানান। দুই ছেলের বিয়ের যে কার্ড আদালতে জমা দেওয়া হয় তাতে আমন্ত্রণকারী হিসেবে ছত্রধরের মা বেদনাবালা মাহাতর নাম রয়েছে। পুলিস রিপোর্টের ভিত্তিতেই আর্জি মঞ্জুর করেন বিচারক। ছ’দিনের প্যারোলে ছত্রধর বাড়ি ফিরেছেন গত শনিবার। ৩ জুলাই ছত্রধরের বড় ছেলে ধৃতিপ্রসাদের বিয়ে হয়। পাত্রী ঝাড়গ্রামের শম্পা মাহাত। ছোট ছেলে দেবীপ্রসাদের বিয়ে হয় মঙ্গলবার গোধূলি লগ্নে। পাত্রী লালগড়ের শুকতারা মাহাত। আদালতের নির্দেশ রয়েছে, নিজের বাড়ির চৌহদ্দির বাইরে বেরতে পারবেন না ছত্রধর। সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে তিনি বড় ছেলের মতো ছোট ছেলেকেও মঙ্গলবার আশীর্বাদ করে বাড়ির গেটে উপস্থিত গাড়িতে তুলে দেন। অন্য যাবতীয় সামাজিক আচার আত্মীয়, পড়শিদের নিয়ে সামলাবেন তাঁর স্ত্রী নিয়তি। আজ বুধবার সকালে নববধূকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন দেবীপ্রসাদ। এরপর সন্ধ্যায় আমলিয়া গ্রামের বাড়িতে দুই পুত্রবধূর জন্য ধুমধামসহকারে একত্রে আয়োজিত হবে প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান। উপস্থিত থাকবেন দুই পরিবারের সদস্যরা এবং ছত্রধরের  আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা। ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহলের ওই নেতার বাড়ির উঠোনে তৈরি অনুষ্ঠান মঞ্চ সেজে উঠেছে নানা আলোর মালায়। ওই প্যান্ডেলের এক কোণে সাজানো গোছানো দু’টি চেয়ারে আজ বসবেন সেরা সাজে সজ্জিত দুই পুত্রবধূ। সারাক্ষণ বাজবে সানাই। ফুলের গন্ধে ম ম করে উঠবে গোটা চত্বর। সব মিলিয়ে মাহাত পরিবারে আজ বসন্ত।