বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

এবার মিনিকিট চালের জিআই
তকমা পেতে উদ্যোগী বাংলা

কৌশিক ঘোষ, কলকাতা: বাংলার দু’টি চাল—গোবিন্দভোগ ও তুলাইপঞ্জি ইতিমধ্যে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনের (জিআই) তকমা পেয়েছে। দু’টিই সুগন্ধী। এবার সুগন্ধী নয় কিন্তু সরু ‘মিনিকিট’ চালের জিআই তকমা পেতে উদ্যোগী হয়েছে বাংলা। মিনিকিটের আর একটি পার্থক্য হল, কয়েক বছর আগে রাজ্য কৃষিদপ্তরের অধীন চুঁচুড়ার চাল গবেষণা কেন্দ্রে উচ্চ ফলনশীল এই ধানের প্রজাতির উদ্ভাবন হয়েছে। তবে, গোবিন্দভোগ ও তুলাইপঞ্জির অস্তিত্ব এই বাংলায় সুপ্রাচীন।
চুঁচুড়া ধান গবেষণা কেন্দ্রে উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ধানটির নাম অবশ্য‌ ঩মিনিকিট ছিল না। এর পরিচিতি ছিল ‘শতাব্দী’ নামে। গবেষণা কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত অধিকর্তা পার্থ রায়চৌধুরী জানান, গবেষণাগারে পরীক্ষামূলক ব্যবহারের পর ২০০৯-১০ সাল নাগাদ ‘শতাব্দী’-র বীজ ছোট ছোট প্যাকেট করে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। ছোট প্যাকেট বা মিনিকিটে বণ্টিত বীজ থেকে উৎপাদিত চালই ‘মিনিকিট’ নামে কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে। ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যেও ছড়িয়ে যায় নামটি। তবে মিনিকিট নামে আরও কিছু প্রজাতির ধান থেকে উৎপাদিত চাল এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। যদিও কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকৃত মিনিকিট বলতে শতাব্দী ধান থেকে উৎপাদিত চালকেই বোঝায়। 
পূর্ব বর্ধমান জেলার রাইস মিল মালিকদের সংগঠন মিনিকিটের জিআই তকমা পাওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছে। সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য তাঁরা একটি নামী আইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিচ্ছেন। সম্প্রতি এক বৈঠকে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় যে প্রকৃত মিনিকিট চাল উৎপাদন হয় সেটির জিআই স্বীকৃতিলাভের প্রচেষ্টা চলছে। পূর্ব বর্ধমানেরই গোবিন্দভোগ ইতিমধ্যেই জিআই তকমা পেয়েছে। যেমন স্বীকৃতি পেয়েছে উত্তর দিনাজপুরের তুলাইপঞ্জি চাল। 
খোলা বাজারে সরু চালের মধ্যে মিনিকিটের জনপ্রিয়তা এখন সবথেকে বেশি। এর চাহিদা বিদেশেও বাড়ছে। বাংলাদেশ, আরব ও আফ্রিকার দেশগুলিতে এই চালের রপ্তানি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে। জিআই তকমা পেলে রপ্তানির বাজার আরও বাড়বে বলে আশা করছে ব্য‌বসায়ী মহল। তাহলে চাষিরাও ধানের দাম বেশি পাবেন। কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, মূলত বোরো মরশুমে এই ধানের উৎপাদন হার খুব ভালো—প্রতি হেক্টরে প্রায় ৫ হাজার কেজি। উৎপাদন হারের নিরিখে এটা মোটা স্বর্ণ ধানের প্রায় সমান। কিন্তু দাম অনেক বেশি মেলে।

6th     July,   2022
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ