বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

আর্থিক প্রতারণার প্রমাণ
দিল না পল্লবীর পরিবার
মিলল না পুলিসি নোটিসের জবাব

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘মেয়ের দেওয়া ৫৭ লক্ষ টাকায় রাজারহাটে সাগ্নিকের বাবার নামে ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে।’— টেলি অভিনেত্রীর আত্মহত্যার পর গরফা থানায় সাগ্নিকের নামে এমনই আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ করেছিল পল্লবীর পরিবার। কিন্তু ওই অভিযোগ কাগজে-কলমেই রয়ে গিয়েছে। পুলিসের নোটিস পাওয়ার পর ছ’দিন কেটে গেলেও অভিযোগের সপক্ষে এখনও কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি ওই পরিবার। 
পল্লবী দে’র দেহ উদ্ধারের পরই মৃত্যুর কারণ নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল এই শহর। পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে অভিনেত্রীকে। সেই মর্মে গরফা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। দায়ের হয় খুন ও আর্থিক প্রতারণার মামলা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিবারের আনা খুনের অভিযোগ নস্যাৎ হয়ে যায়। আর্থিক প্রতারণার তদন্তেও কোনও সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে পুলিসের দাবি। মৃতার বাবা নীলু দে’র অভিযোগ, সাগ্নিকের বাবার নামে যে ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে, তার অধিকাংশ টাকাই দিয়েছিল পল্লবী। সেই অভিযোগেরও কোনও প্রমাণ পায়নি পুলিস। সূত্রের দাবি, পল্লবীর তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখা হয়েছে। ৫৭ লক্ষ টাকা পেমেন্টের কোনও প্রমাণ তাতে পাওয়া যায়নি। এরপরেই পল্লবীর বাবাকে ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৯১ ধারায় নোটিস পাঠান মামলার তদন্তকারী আধিকারিক। বলা হয়, ‘আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের সপক্ষে যাবতীয় নথিপত্র থানায় এসে পেশ করুন।’ পুলিস সূত্রের দাবি, এই মর্মে কোনও নথি এখনও এসে পৌঁছয়নি। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারীরা থানায় এসে দেখাও করেননি। প্রতিক্রিয়া জানতে পল্লবীর বাবা নিলুবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুলিসের নোটিস পেয়েছি। সেটি আমার আইনজীবীকে দিয়েছি। তিনি যা করার করবেন। কোনও নথি আমি এখনও জমা দিইনি। 
উল্লেখ্য, আজ, বৃহস্পতিবার সাগ্নিকের পুলিসি হেফাজত শেষ হচ্ছে। আজই তাঁকে ফের আলিপুর আদালতে তোলা হবে। পুলিস সূত্রে খবর, পুনরায় চারদিনের জন্য তাঁকে পুলিসি হেফাজতে নিতে আবেদন জানানো হবে। তদন্তকারীদের দাবি, সাগ্নিকের প্রচুর টাকার হদিশ মিলেছে। বেআইনি কল সেন্টার চালিয়ে সেই টাকা রোজগার করেছেন তিনি। সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পেরেছে, তাঁর কল সেন্টারে আটজন কর্মী কাজ করেন। তাঁদের বেতনের জন্য সাগ্নিককে মাসে প্রায় এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি দিতে হতো। তাহলে তাঁর মাসিক আয় কত? পুলিসের দাবি, তাঁর আয়ের অঙ্ক নির্দিষ্ট নয়। মাস বিশেষে দু’-তিন লক্ষ টাকা রোজগার করেন পল্লবীর এই লিভ-ইন পার্টনার। যা হিসেব করে দেখলে পল্লবীর মাসিক রোজগারের তুলনায় প্রায় দুই বা তিনগুণ বেশি। পুলিস সূত্রে খবর, পল্লবীর তুলনায় সাগ্নিকের রোজগার ও সঞ্চয় অনেকটাই বেশি। তাই আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তেমন কোনও ভিত্তি নেই বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

26th     May,   2022
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ