বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

‘টাকা দিলে মিলবে সার্টিফিকেট’, শৃঙ্গ
জয়ের পরও স্বীকৃতি অধরা পিয়ালির

অভিজিৎ চৌধুরী ও রাহুল দত্ত, চুঁচুড়া ও কলকাতা: নেপালের পায়োনিয়ার মাউন্টেনিয়ারিং এজেন্সি স্পষ্ট জানিয়ে দিল, বকেয়া টাকা না পেলে জোড়া শৃঙ্গজয়ের শংসাপত্র তারা দেবে না। চন্দননগরের বঙ্গকন্যার জোড়াশৃঙ্গ জয়ের সাফল্য উদযাপনের সুযোগ নিয়ে তাই সংশয়ে বসাক পরিবার। মঙ্গলবার রাতে এজেন্সি থেকে ফোন আসায় রাতের ঘুম উড়েছে পিয়ালি বসাকের মা ও বোনের। তাঁদের মনে হচ্ছে, এ সমস্যার পাহাড় জয় করা এভারেস্ট এবং লোৎসে শৃঙ্গ আরোহণের থেকেও কঠিন। বসাক পরিবার বা পিয়ালি, কেউই এখনও জানেন না টাকা কোথা থেকে আসবে। তাও এক দু’হাজার টাকা নয়, প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। সাফল্য আর স্বীকৃতির মধ্যে তাই কাপ ও ঠোঁটের দূরত্ব ঘুচবে না, বলেই পরিবার মনে করছে।
মঙ্গলবার বিকেলেই চন্দননগরের বসাক বাড়িতে ছিল খুশির আবহ। কিন্তু রাত থেকে পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। রাতে ঘুমোতে পারেননি বোন তমালি বসাক। বুধবার বসাকবাড়ির দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল না এই পরিবারের মেয়ে জোড়া শৃঙ্গ জয় করেছে সদ্য। মনে হচ্ছিল না চারটে ৮ হাজারি শৃঙ্গ জয়ের কৃতিত্ব ওই বাড়িটির মেয়ের দখলে। বাড়ির হাওয়াতেই ঘুরে বেড়াচ্ছিল নিখাদ বিষাদ। সবচেয়ে বড় কথা, সমস্যা সমাধানের কোনও পথ বসাক বাড়ির কেউ জানেন না। পিয়ালিদেবীর বোন তমালি বসাক বলেন, আমাদের কিছু বলার নেই। জানি না টাকা কোথায় থেকে আসবে। বাড়ি বন্ধক দিতে চেয়েছিলাম, তা হয়নি। কিছু সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে টাকা পাওয়ার কথা ছিল, তা নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই। ফলে, সামিট এজেন্সি যা সিদ্ধান্ত নেবে, মেনে নিতে হবে।
পিয়ালিদেবীর বৃদ্ধা মা স্বপ্না বসাক বারবার শুকনো মুখে প্রায় সবার কাছে জানতে চাইছেন, মেয়েটা যে কষ্ট করল তার তাহলে কোনই মূল্য থাকবে না? উত্তর নেই পরিবারের ঘনিষ্ঠ তথা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার মোহিত নন্দীর মুখেও। তিনি বলেন, অভিযানের আগে অনেক মানুষ সাহায্য করেছেন। কিন্তু এই সময় আর কোনও সাহায্যের আশ্বাসও মিলছে না। তবে চেষ্টা এখনও চলছে, এটুকু বলতে পারি। এজেন্সির অন্যতম কর্তা পাসাং শেরপা বুধবার বলেন, আমাদের অনেকগুলি কাজ করতে হয়। সবজায়গাতেই টাকার প্রয়োজন। পিয়ালিদেবীকে আমরা সামিট করতে বাধা দিইনি। এখন বাড়ি ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা নেই। কিন্তু টাকা না পেলে শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, আমরা কোনও ট্রাস্ট চালাই না। সামিট করানোর টাকাতেই আমাদের অনেক মানুষের সংসার চালাতে হয়।
গত রবিবার বাংলাকে গর্বিত করেছিলেন চন্দননগরের পিয়ালি। ন্যূনতম কৃত্রিম অক্সিজেন ব্যবহার করে পা রেখেছিলেন বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টে। তার একদিন পর ফের তিনি পা রাখেন বিশ্বের চতুর্থ শৃঙ্গ লোৎসেতে। জীবন বাজি রেখে জেদে তাঁর জোড়া সাফল্যকে কুর্নিশ করছেন অনেকেই। কিন্তু অর্থের অভাবে সেই সাফল্যের স্বীকৃতি পাওয়ার আশা এখন এভারেস্টপ্রমাণ অতলে।        

26th     May,   2022
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ