বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

বঙ্গ বিজেপি থেকে ‘নির্বাসন’ দিলীপকে
‘বাংলার যেখানে খুশি যাব, কে আটকাবে’ 

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বঙ্গ বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্বে এবার ইন্ধন কি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের? রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির দুর্বল বুথ শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বুধবার দলের অন্যতম কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে খাতায়-কলমে বড়সড় দায়িত্ব দিয়েছে দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্ব। মোট আটটি রাজ্যে বিজেপিকে বুথ স্তরে শক্তিশালী করতে হবে তাঁকে—বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, আন্দামান, মেঘালয়, মণিপুর, ত্রিপুরা এবং অসম। প্রশ্নটা উঠছে এখানেই। যে দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী উত্থান, সেই রাজ্যেই হঠাৎ তিনি ব্রাত্য কেন? ভূমিপুত্র হওয়া সত্ত্বেও নিজের রাজ্যের দায়িত্ব থেকেই তাঁকে কেন ‘নির্বাসিত’ করা হল? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে বঙ্গ বিজেপির ‘ক্ষমতাসীন’ নেতৃত্বের কলকাঠি? এমন কোনও কারণেই দিলীপবাবুকে বাংলার সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে একেবারে সরিয়ে দেওয়া হল না তো? যাতে দিলীপবাবু আর অযথা বাংলার সংগঠন নিয়ে মাথা ঘামানোর সুযোগ না পান? 
দিনভর এ নিয়ে জল্পনা চলেছে পার্টির অন্দরমহলে। দিলীপবাবু যদিও তাঁকে বাংলার দায়িত্ব না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাতে নারাজ। বরং তাঁর কথায় বার্তায় ঝরে পড়ছে পাল্টা রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ। বুধবার ‘বর্তমান’কে তিনি সাফ বলেছেন, ‘আমি বাংলাতেই আছি। বাংলার যেখানে খুশি যাব। আমাকে কে আটকাবে? দিল্লি থেকে ফিরেই আমার একাধিক কর্মসূচি রয়েছে রাজ্যে। উত্তরবঙ্গেও যাব।’ দিলীপবাবুর এহেন মন্তব্যকে রাজ্যের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর প্রতি কার্যত তাঁর হুঁশিয়ারি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মনে করা হচ্ছে, এই মন্তব্যের মাধ্যমে দিলীপবাবু বুঝিয়ে দিলেন, তিনি তাঁর মতো করেই বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক দায়দায়িত্বের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবেন। এই ইঙ্গিত বিশেষভাবে লক্ষণীয়। বুধবার দিল্লিতে বুথ সশক্তকরণ অভিযান কর্মসূচি নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। উল্লিখিত কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্যই হল, রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির বুথস্তরের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা। কারণ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিলক্ষণ জানেন যে, বুথ, অর্থাৎ তৃণমূলস্তরের সংগঠনকে মজবুত করতে না পারলে দলের শক্তিবৃদ্ধির সম্ভাবনাই নেই। বিজেপির অন্দরের খবর, প্রধানত ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই বুথস্তরের সংগঠন শক্তিশালী করার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। আর এই কর্মসূচি রূপায়ণের জন্যই সংশ্লিষ্ট আট রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিলীপবাবুর উপর। সেক্ষেত্রে কে থাকছেন বাংলার দায়িত্বে?
দিলীপবাবুর দাবি, সম্ভবত ওড়িশার বিজেপি নেতা বৈজয়ন্ত পান্ডার উপর পড়তে চলেছে বাংলায় দলের বুথস্তরের সংগঠন শক্তিশালী করার দায়িত্ব। এক্ষেত্রে বঙ্গ বিজেপিতে ফের সামনে আসছে বহিরাগত তত্ত্ব। গত বিধানসভা নির্বাচনে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননদের পেশ করা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বাংলায় দলের সাংগঠনিক কৌশল সাজিয়েছিল বিজেপি। তাতে ভরাডুবি হয়েছিল। এবার ফের ‘বহিরাগত’ নেতার রিপোর্টেই কি বাংলায় দলের বুথস্তরের সংগঠন শক্তিশালী করার মরিয়া ভাবনা শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অন্দরমহলে? প্রশ্ন কিন্তু দলের মধ্যেই।

26th     May,   2022
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ