বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

দলে যোগদানে স্থানীয় বিধায়ক ও
জেলা সভাপতির মত নেবে তৃণমূল
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার শীর্ষ নেতৃত্বের হাতেই

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: তৃণমূল শিবিরে শামিল হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করছেন অনেকেই। কিন্তু চাইবেন আর দলে যোগদান হয়ে যাবে, এমনটা একেবারেই নয়। দলে যোগদানের আগে একটা ‘বাছাই পর্ব’ তৈরি করছে তৃণমূল। যেমনটা হয়েছে অর্জুন সিংয়ের ক্ষেত্রে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও নেতা যোগদানের আগে স্থানীয় বিধায়ক ও জেলা সভাপতির  মতামত নেওয়া হবে। তারপর চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। 
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই দেখা গিয়েছে, বিজেপি শিবিরে ভাঙন অব্যাহত। বিজেপিকে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল হারাতে পারে, এটা প্রমাণিত হয়ে যাওয়ার পর থেকেই জোড়াফুল শিবিরে শামিল হওয়ার তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ইঙ্গিত দিয়েছেন, আরও অনেকেই যোগদান করতে পারেন। এই তালিকায় বিজেপির অতি পরিচিত মুখেরও জোড়াফুল শিবিরে শামিল হওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আবার যে সমস্ত নেতারা তৃণমূলে যোগদান করছেন, তাঁদের অনুগামীরাও তৃণমূলে যোগ দিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করছেন। 
কিন্তু এই যোগদানের সামগ্রিক বিষয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের মতামত থেকেই। দেখা গিয়েছে, অর্জুন সিংয়ের যোগদানের আগে উত্তর ২৪ পরগনার নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক, সুবোধ অধিকারী, সোমনাথ শ্যাম, রাজ চক্রবর্তী, রফিকুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগদান সংক্রান্ত বিষয়ে দলের অবস্থান পরিস্কারভাবে উঠে এসেছে তৃণমূলের একাধিক বিধায়কের বক্তব্যে। তাঁরা বলেছেন, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ছেড়ে কোনও নেতা তৃণমূলে আসতে চাইলে, তাঁকে আগে দলের কাছে আবেদন করতে হবে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়ক ও জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলে নেবেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁদের মতামত নেওয়ার পর চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তৃণমূলের আরও একাধিক বিধায়ক জানিয়েছেন, সাধারণত বড় মাপের কোনও নেতা দলে এলে, তারপর ওই নেতার অনুগামী কিংবা সঙ্গীরাও তৃণমূলে শামিল হতে চান। এক্ষেত্রেও ওই অনুগামীদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে। যোগদানে ইচ্ছুক ব্লক কিংবা ওয়ার্ডের ওই নেতাদের ভাবমূর্তি যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে। যে কারণে অর্জুন সিং বলেছেন, তৃণমূল দলে অনেক স্ক্রিনিং হয়। না হলে তৃণমূল চাইলে, এতদিনে বিজেপি ফাঁকা হয়ে যেত। দলীয় সূত্রে খবর, বিজেপি কিংবা অন্য দল থেকে তৃণমূলে এলে স্থানীয় এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তিনি যাতে মিলেমিশে কাজ করতে পারেন, সেটাই দেখে নেওয়া হচ্ছে। ফলে স্থানীয় এলাকার কর্মীদের সঙ্গে যাতে সুস্পর্ক গড়ে ওঠে সেটাতেই গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন, বিজেপিতে থাকাকালীন অনেক নেতা জোড়াফুলকে গালমন্দ করেছেন। কিন্তু ওই নেতারা পরে তৃণমূলে যোগদান করছেন। এক্ষেত্রে নৈতিক জয় হিসেবে দেখছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ তারা উপলব্ধি করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলই পারবে মানুষের জন্য লড়াই করতে।

24th     May,   2022
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ