বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

ইগো ছাড়ুক কংগ্রেস, বিকল্প
জোটে আপত্তি নেই: তৃণমূল

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কখনও লড়াইয়ের কথা বলা হয়নি। এই বার্তাটা আবারও স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল। তবে ‘হাত’ চিহ্নের নেতাদের উদ্দেশ্যে জোড়াফুল শিবিরের বার্তা, কংগ্রেস শীতঘুম ছেড়ে বেরিয়ে এসে মানুষের স্বার্থে মাঠে-ময়দানে নেমে লড়াই করুক। কারণ, বিভিন্ন রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলিই হারিয়ে চলেছে বিজেপিকে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে হাতে এখনও সময় আছে। ফলে বিজেপি বিরোধী একটা বিকল্প জোট সম্ভব বলে জানিয়েছেন জোড়াফুল শিবিরের নেতারা। প্রায় এক সুর শোনা গিয়েছে বিহার কেন্দ্রিক অন্যতম আঞ্চলিক দল আরজেডি নেতৃত্বের গলাতেও। লালুপ্রসাদ যাদবের দলের মুখপাত্র মনোজ কুমার বলেছেন, বিজেপি’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আঞ্চলিক দলগুলি তাদের শক্তির পরিচয় বিগত লোকসভা ভোটেই দিয়েছে। অন্তত ৩২০টি আসনে এর প্রমাণ রয়েছে। আগে কংগ্রেস সেই আসনগুলিতে নিজেরা চালকের আসনে বসে ঩সেই শক্তির প্রমাণ দিক। সিপিআইএমএল (লিবারেশন) দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, এটা ঠিক যে কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি বিরোধী কোনও ঐক্যবদ্ধ জোট সম্ভব নয় এই মুহূর্তে। কিন্তু তাদের নেতৃত্বকেও এব্যাপারে সচেতন মন্তব্য করতে হবে। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে বিঁধেছেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জনতা দল সেকুলার নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী। তিনি বলেন, আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে আতঙ্কে ভুগছে কংগ্রেস।
বস্তুত, আঞ্চলিক দলগুলি জোট বাঁধুক। এই বার্তা একাধিকবার দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চান, বিজেপিকে হারাতে ১:১ ফর্মূলাতে লড়াই হোক। অর্থাৎ, একের বিরুদ্ধে একের লড়াই। যে রাজ্যে যে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী, তারা বিজেপির বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করুক। আর সেই দলকে সমর্থন দিক, বিজেপি বিরোধী অন্য দলগুলি। ২০২৪ সালে কেন্দ্রের সরকার থেকে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আঞ্চলিক দলগুলির জোট গড়ার কথা উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু এখানে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে। মমতা, অখিলেশ, স্ট্যালিন, শরদ পাওয়ার মতো বিজেপি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর দলের ‘হাত’ মিলবে কি না? সদ্য সমাপ্ত কংগ্রেসের চিন্তন বৈঠকে থেকে উঠে এসেছে সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির একজোট হওয়ার প্রসঙ্গ। দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে লড়াইয়ের কথা আমরা কখনও বলিনি। কিন্তু কংগ্রেস জনসমর্থন হারিয়েছে, তা তাদের বৈঠকেই উঠে এসেছে। ফলে আঞ্চলিক দলের সঙ্গ ছাড়া কংগ্রেস একা কিছু করতে পারবে না। ইগো ছেড়ে কংগ্রেসের উচিত, আঞ্চলিক দলগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া।
দেখা গিয়েছে, সদ্য সমাপ্ত পঞ্জাব বিধানসভা ভোটে হেরে গিয়েছে কংগ্রেস। সেখানে শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপের। কংগ্রেসের হাতে আছে এখন শুধু রাজস্থান আর ছত্তিশগড়।

17th     May,   2022
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ