বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

রোবটের প্রেমে পড়েননি তো, ডেটিং
অ্যাপগুলিতে প্রতারণা নিয়ে সতর্কবার্তা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে, কে কোথা ধরা পড়ে কে জানে...’ রবীন্দ্রনাথ যখন এটা লিখেছিলেন, তখন আম বাঙালি ভ্যালেটাইন্স ডে নিয়ে মাতোয়ারা হয়নি। ‘বিশ্বপ্রেমিক’ বাঙালি এখন ভ্যালেন্টাইন্স ডে জানে। আর সময়টা যখন ভ্যালেন্টাইন্স উইক, তখন তো কথাই নেই। মনে রং, বুকে আগুন। আগুন জ্বলুক। রং আরও গাঢ় হোক অসুবিধা নেই। কিন্তু সব মাথায় রেখে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বুঝে নিতে বলছেন, আক্ষরিক অর্থেই ‘প্রেমের ফাঁদে’ পড়ছেন কি না! বিষয়টা কী?
বহু বছর ধরেই প্রেম ডিজিট্যাল হয়েছে। ‘প্রেমের ফাঁদ’ এখন বাস্তব সমস্যা। সৌজন্যে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এবং বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপ। দোসর হয়েছে বেশ কিছু ম্যাট্রিমনিয়াল অ্যাপও। আর এগুলির মাধ্যমেই বেকুব হচ্ছেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আসলে কোনও বোবটের প্রেমে পড়েছেন, এমনও হতে পারে। আর সেটাই হল ফাঁদ। কোনও সুপুরুষ বা সুন্দরীর ছবি দিয়ে অ্যাকাউন্ট চালাচ্ছে যন্ত্র। আদতে সেটাই ভার্চুয়াল ফাঁদ। যদি সতর্ক না থাকেন, তাহলে গাঁটগচ্চা তো যাবেই, মান-সম্মান নিয়েও টানাটানি হতে পারে।
সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে থাকে আইইএম ল্যাবস নামে একটি সংস্থা। তার চিফ টেকনোলজি অফিসার হৃত্বিক লাল বলেন, আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিওরিটি এজেন্সির বিভিন্ন পরিসংখ্যান জানলে চোখ কপালে উঠতে পারে। যেমন, প্রত্যেক ১০টি ডেটিং অ্যাপের মধ্যে একটি হল ফেক বা ভুয়ো। রোমান্স স্ক্যামের মাধ্যমে প্রতারকরা প্রায় ৩০০-৪০০ কোটি টাকা রোজগার করতে পারে। গুড়গাঁওতে সম্প্রতি ৬৫ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন এক যুবক। গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া ফেক ডেটিং অ্যাপগুলির ডাউনলোড ১০ বিলিয়নের বেশি। এগুলি ডাউনলোড করার আগে ডেভেলপারের নাম দেখে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন হৃত্বিক। তবে, আসল অ্যাপ হলেও ঝুঁকি যে থাকছে না তা নয়। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপের ২০ শতাংশ অ্যাকাউন্টই আসলে বট অর্থাৎ রোবট। আর ২০২০ সালের মার্চে, লকডাউনের শুরুর দিকে একদিনে তিন বিলিয়ন সোয়াইপ অর্থাৎ তিনশো কোটি মানুষের ছবি এবং প্রোফাইল দেখা হয়েছে। 
ঠিক কীভাবে প্রতারণা করা হয়? ‘সেক্সটরশন’ হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রতারণার ক্ষেত্র। বট চালিত অ্যাকাউন্টগুলি থেকে শিকার ধরে প্রতারকরা। ‘ম্যাচ’ করার পরেই তারা শিকারের সামনে আসে। ধীরে ঘনিষ্ঠ হয়। ছবি, ভিডিওয় তার প্রমাণ রাখে। তারপর শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং। ফিশিং পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যাঙ্কের টাকা গায়েব করা দেওয়াও অসম্ভব নয়। তাই, টিনএজারদের অনেক মেপে পা ফেলতে হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 

12th     February,   2022
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ