বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

মাধ্যমিক স্কুলে রোজ একটি ক্লাস
পরিকাঠামো, লোকবলের
অপচয়, সরব শিক্ষামহল

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একটি শ্রেণির ক্লাস করানোর জন্য ডেকে আনতে হচ্ছে সমস্ত শিক্ষককে। সোম এবং মঙ্গলবার, দু’দিনই দেখা গিয়েছে, যত শিক্ষক রয়েছেন, সেই তুলনায় ছাত্র নগণ্য। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জারি করা ক্লাস বিভাজনের নতুন নির্দেশিকা কার্যকর করতে গিয়ে এমনই সমস্যায় পড়ছে মাধ্যমিক স্কুলগুলি। অভিযোগ, মানবসম্পদ এবং পরিকাঠামো, দু’টিরই অপচয় হচ্ছে সমানভাবে। যদিও, বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে পুনর্বিবেচনা হচ্ছে বলে খবর।
পর্ষদ নির্দেশ দিয়েছে, সোম, বুধ, শুক্রবার দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস নিতে হবে। আর মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার হবে নবম এবং একাদশের ক্লাস। এবার সমস্যা হল, মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হয়। সেখানে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি নেই। এই অবস্থায় সপ্তাহে একদিন অন্তর নবম আর দশম শ্রেণির ক্লাস তাদের করাতে হবে। অর্থাৎ, সোমবার সেগুলিতে আসবে দশমের পড়ুয়া, মঙ্গলবার আসবে নবমের পড়ুয়ারা। প্রায় সাড়ে তিন হাজার মাধ্যমিক স্কুলের ৪০ হাজারের কাছাকাছি শিক্ষক প্রতিদিন একটি ক্লাসের দায়িত্বে থাকবেন। এখানেই মানবসম্পদ অপচয়ের অভিযোগ তুলছে শিক্ষামহল।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি এই ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রী এবং স্কুল শিক্ষা কমিশনারের কাছে ইমেলও পাঠিয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্রের বক্তব্য, মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে প্রতিদিন নবম এবং দশম শ্রেণির ক্লাস করাতে কোনও সমস্যা হচ্ছিল না। তবে, রবিবার যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তা তাদের কাছে অর্থহীন হয়ে পড়েছে। আর এখানেই উচ্চ প্রাথমিকের পঠনপাঠন চালুর দাবি তুলছে তারা। তাদের বক্তব্য, একদিন অন্তর তা চালু করা হলে, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়। সর্বভারতীয় স্কলারশিপ পরীক্ষা এনএমএমএসই-এর জন্য অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রী নির্বাচন করতে হচ্ছে স্কুলগুলিকে। এদিকে অষ্টম শ্রেণিতে কোনও ক্লাসই গত বছরের মার্চ থেকে হয়নি। এই অবস্থায় স্কুলগুলি যখন তাদের পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার কথা বলছে, তখন আপত্তি তুলছেন অভিভাবকরা। তাঁদের প্রশ্ন, ক্লাসই যেখানে হল না, সেখানে কীসের ভিত্তিতে পরীক্ষা হবে? এসব সমস্যাই মিটে যাবে, উচ্চ প্রাথমিকের ক্লাস শুরু হলে।
বর্ধমানের বাসিন্দা একটি উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, আমরা পড়েছি অন্য সমস্যায়। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কিছু শিক্ষক বাঁকা মন্তব্য করছেন আমাদের নিয়ে। কারণ উচ্চ প্রাথমিক স্কুল এখনও খোলেনি। আর তাঁদের রোজ স্কুলে যেতে হচ্ছে। এই অবস্থায় অন্তত সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণি একদিন অন্তর চালু করা যেতেই পারে। স্কুল বন্ধ থাকায় প্রতিদিনের রান্না করা মিড ডে মিল থেকেও পড়ুয়ারা বঞ্চিত হচ্ছে। সেটাও তারা পাবে। তাছাড়া, ক্লাস বন্ধ থাকায় ভর্তির ক্ষেত্রে মার খেতে পারে স্কুলগুলি। পড়ুয়া টানার জন্য প্রাথমিক স্কুলের উপর নির্ভরশীল থাকে উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলি। প্রাথমিকের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কাজটি করতে হয়। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, দু’টি স্তরের স্কুলই বন্ধ থাকায় ডিসেম্বরের শেষে ভর্তি নিয়ে ফের ভুগতে হবে শিক্ষক এবং স্কুলরে প্রধানদের। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়ারা ভর্তিতে আগ্রহও হারাবে বলে আশঙ্কা শিক্ষকদের। 

26th     November,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ