বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

সিলিকোসিস রোগ নির্ণয়ের কিট তৈরি
করে তাক লাগালেন পুরুলিয়ার বিজ্ঞানী
বিশ্বে প্রথম

সুকান্ত মাহাত, পুরুলিয়া: প্রাণঘাতী সিলিকোসিস রোগ নির্ণয়ের জন্য বিশ্বে প্রথম স্ক্রিনিং কিট তৈরি করে তাক লাগালেন পুরুলিয়ার তরুণ বিজ্ঞানী শ্যামসুন্দর নন্দী। এই কিট সিলিকোসিস এবং সিলিকো-টিউবারকুলোসিস রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ২০২২ সালের জানুয়ারির মধ্যে এই কিট ভারতের বাজারে আসতে চলেছে বলে জানিয়েছেন তরুণ এই বিজ্ঞানী।
শ্যামসুন্দরবাবুর বাড়ি পুরুলিয়ার হুড়া থানার বড়গ্রামে। পুঞ্চা থানার নপাড়া হাইস্কুলের প্রাক্তন এই কৃতী ছাত্র বর্তমানে আইসিএমআরের মুম্বই ইউনিটের সহকারী ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত। আইসিএমআর সূত্রে জানা গিয়েছে,  সিলিকোসিস হল এটি দুরারোগ্য ব্যাধি। শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে সিলিকা ফুসফুসের মধ্যে গিয়ে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ভারতে প্রায় ১২.৫ মিলিয়ন মানুষ সিলিকোসিসে আক্রান্ত। মূলত পাথর খাদানে, মার্বেল তৈরির কারখানা সহ বিভিন্ন অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকরা এতে আক্রান্ত হন। সিলিকোসিস প্রচলিতভাবে বুকের এক্স-রে কিংবা সিটিস্ক্যানের সাহায্যে নির্ণয় করা হয়। আগে থেকে এর লক্ষণ বোঝা যায় না। ফলে রোগ নির্ণয় হতে হতেই অনেক দেরি হয়ে যায়। যেহেতু এই রোগের সুনির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই, তাই সিলিকোসিসের প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং শুরুতেই প্রতিরোধের ব্যবস্থা করাই এই রোগ নিয়ন্ত্রণের একমাত্র সমাধান। সিলিকোসিস রোগীরা যক্ষ্মা রোগের ঝুঁকিতে থাকেন এবং ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। নতুন আবিষ্কৃত এই কিটের সাহায্যে পরীক্ষা করে আধ ঘণ্টার মধ্যেই শ্রমিকদের মধ্যে কাদের সিলিকোসিস হওয়ারআশঙ্কা রয়েছে, তা নির্ণয় করা সম্ভব হবে।
আইসিএমআর-এনআইভির মুম্বই ইউনিটের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর শ্যামসুন্দর নন্দী এবং তাঁর টিম ‘সিসি ১৬’ কিটের প্রযুক্তি তৈরি করেছেন। উপেন্দ্র লাম্বে, সোনালি সাওয়ান্ত ওই টিমে কাজ করেছেন। এছাড়াও ওই টিমে প্রযুক্তি উন্নয়নে মেন্টর হিসেবে কাজ করেছেন জগদীশ দেশপাণ্ডে। এই কিট তৈরিতে কমলেশ সরকার এনআইওএইচের অবদান রয়েছে। সম্প্রতি আইসিএমআর হেডকোয়ার্টারের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে এই কিটের বিষয়টি জনসমক্ষে জানানো হয়েছে। গবেষণামূলক এই কাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেচার সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’-এও গৃহীত হয়েছে। 
শ্যামসুন্দরবাবু বলেন, এই কিটের  মাধ্যমে ন্যূনতম খরচে অসংগঠিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের সিলিকোসিস রোগের আশঙ্কা রয়েছে কি না, তা দ্রুত বোঝা সম্ভব হবে। সেই অনুযায়ী রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণে এই কিট কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করবে। সাধারণ মানুষ নিজেরাও বাজার থেকে এই কিট কিনে পরীক্ষা করে নিতে পারবেন।
এর আগেও পুরুলিয়ার এই তরুণ বিজ্ঞানী অতি দ্রুত করোনার রোগ নির্ণয়ের বিশেষ কিট তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামের তরুণ এই বিজ্ঞানীর একের পর এক আবিষ্কারে গর্বিত জেলার বাসিন্দারা।

19th     October,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ