বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

প্রাথমিক শিক্ষকের পদে
আবশ্যিক নয় স্নাতকে ৫০ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার জন্য স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর পাওয়া আর আবশ্যিক নয়। শিক্ষক প্রশিক্ষণ, যোগ্যতা নির্ধারক এবং নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই) তাদের নয়া সংশোধনীতে তা জানিয়েছে। তবে স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর না থাকলে স্নাতকোত্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। তার সঙ্গে আরও একটি শর্ত হল, তিন বছরের বিএড এবং এমএড-এর ইন্টিগ্রেটেড কোর্সের ডিগ্রি থাকা। তাহলেই প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষকতার চাকরি পেতে আর বাধা থাকবে না। যদিও চাকরি পাওয়ার দু’বছরের মধ্যে করে ফেলতেই হবে ছ’মাসের একটি ব্রিজ কোর্স।
এনসিটিই তাদের ২০১০ সালের নিয়োগবিধিতে বলেছিল, প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরি পেতে উচ্চ মাধ্যমিকে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ এবং দু’বছরের ডিএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন) কোর্স থাকতে হবে। এর সমতুল কোর্সগুলিও বৈধ ছিল। তবে পরবর্তী কালে নিয়মে খানিক বদল করা হয়। বলা হয়, উচ্চ মাধ্যমিকে যাঁদের ৫০ শতাংশ নেই, তাঁরা গ্র্যাজুয়েট হলে এবং ডিএলএড করা থাকলে ছাড় মিলবে। বিএড কোর্স করা গ্র্যাজুয়েট (৫০ শতাংশ নম্বর সহ) প্রার্থীদের সামনেও খোলে চাকরির সুযোগ। তাঁদের ক্ষেত্রেও অবশ্য দু’বছরের মধ্যে ছ’মাসের ব্রিজ কোর্স করে নেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক।
চাকরিপ্রার্থীদের একটি মঞ্চের নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় স্বশাসিত সংস্থার নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরির দরজা আরও বেশি শিক্ষিত বেকারের সামনে খুলে যাবে ঠিকই। তবে, এর সঙ্গে কিছু ধূসর জায়গাও রয়েছে। প্রথমত, এ রাজ্যে তিন বছরের ইন্টিগ্রেটেড বিএড এবং এমএড কোর্স সেভাবে নেই। তাই এ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা অনেকাংশেই বঞ্চিত হতে পারেন। আলাদাভাবে কেউ বিএড এবং এমএড কোর্স করলে কী হবে, তা বলা হয়নি। শিক্ষক নেতা নবকুমার কর্মকার এ প্রসঙ্গে বলেন, সবার স্বার্থ সুরক্ষিত রেখেই নীতি প্রণয়ন করা উচিত। বিজেপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেইনড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই বলেন, বিএডদের প্রাথমিকে চাকরির সুযোগ আগে দেওয়া হয়েছে। এখন ইন্টিগ্রেটেড এমএড কোর্সেও ছাড় দেওয়া হল। তাহলে আর ছেলেমেয়েরা দু’বছরের ডিএলএড কোর্স করবে কেন? সেই কোর্স করলে শুধুমাত্র প্রাথমিকে চাকরির দরজা খুলবে। আর বিএড করলে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক—সব রাস্তাই খোলা। এর ফলে ডিএলএডরা বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানাব, একইভাবে ব্রিজ কোর্স করিয়ে প্রাথমিকের গ্র্যাজুয়েট বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের উঁচু ক্লাসে উন্নীত করা হোক। এর জন্য যাঁদের ডিএলএড রয়েছে, তাঁদের ব্রিজ কোর্স করিয়ে নেওয়া হোক। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তরফে আনন্দ হান্ডা অবশ্য অভিযোগ করেন, উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে যোগ্যতা নিয়ে যাওয়া হলেও মাধ্যমিক স্কেলেই বেতন পাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা।

18th     October,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ