বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

দুর্যোগ থেকে  রেহাই পেল বাংলা
আজ বিকেল থেকে কমবে বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিম্নচাপের গতিপ্রকৃতির জন্য দুর্যোগের হাত থেকে দক্ষিণবঙ্গ অনেকটাই রেহাই পেল। নিম্নচাপের জেরে মূল বৃষ্টিটা পেল ওড়িশা। অতি গভীর নিম্নচাপটি সোমবার সকালে ওড়িশা উপকূল দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকে ছত্তিশগড়ের দিকে চলে যায়। নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গ থেকে দূরে সরে যাওয়ার পাশাপাশি দুর্বল হয়ে পড়বে। জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এর জেরে আজ মঙ্গলবার বেলা বাড়লে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির মাত্রা কমে যাবে। আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে কয়েকদিন পর দক্ষিণবঙ্গে ফের বৃষ্টির মাত্রা বৃদ্ধি একটা সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর নাগাদ উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। এটি পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূলের দিকে এগবে। এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা সহ পূর্ব ভারতে বৃষ্টির মাত্র বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, ঘূর্ণাবর্তটি কতটা শক্তিশালী হবে তার উপর বৃষ্টির মাত্রা অনেকটা নির্ভর করবে। এটি শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে কি না তা এখনও বলা যাচ্ছে না। 
তবে আবহাওয়াবিদরা একথাও বলছেন, সেপ্টেম্বর মাস পড়ে গেলে নিম্নচাপের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। সেপ্টেম্বরের শেষদিকে বঙ্গোপসাগর বা আরবসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে হয়েছে এমন নজির আছে। সাধারণভাবে অক্টোবর-নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়প্রবণ মাস হিসেবে চিহ্নিত। ওইসময় সমুদ্রে কোনও নিম্নচাপ তৈরি হলে সেটির ঘর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এবারেও বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি পর্যায়ক্রমে শক্তিশালী হয়েছে। প্রথমে এটি সাধারণ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। তারপর আরও শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপ হিসেবে ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে। অতি গভীর নিম্নচাপ শক্তি আরও বৃদ্ধি করলে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। প্রবীণ আবহাওয়াবিদ ও কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল মিহির গুহ জানিয়েছেন, বর্ষার মরশুমে নিম্নচাপ কখনও বঙ্গোপসাগরের মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এবার জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। দক্ষিণবঙ্গ সহ পূর্ব ভারতে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা কম বৃষ্টি হওয়ার অন্যতম কারণ এটি। 
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিন, নিম্নচাপের গতিপথ যেদিকে থাকে তার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বেশি বৃষ্টি হয়। উত্তর বা উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে কোনও নিম্নচাপ তৈরি হয়ে বাংলাদেশ উপকূলের দিকেও অগ্রসর হলে অবস্থানজনিত  কারণে দক্ষিণবঙ্গ বেশি বৃষ্টি পায়। জুলাইয়ের শেষদিকে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটির এরকম গতি প্রকৃতির জন্য দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় প্রবল বৃষ্টি হয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এবারে নিম্নচাপটি শক্তি বাড়ালেও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর ছিল। এটির অভিমুখ ছিল পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে। ওড়িশার চাঁদবালি এলাকা দিয়ে এটি উপকূল অতিক্রম করে। এই অবস্থানজনিত কারণে ওড়িশার পুরী, পারাদ্বীপ, ভুবনেশ্বর এবার প্রচুর বৃষ্টি পেয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পুরীতে ৩৪৩ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। পারাদ্বীপে হয়েছে ২২০ মিমি।  দক্ষিণবঙ্গে বেশি বৃষ্টি পেয়েছে পূর্ব, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা  জেলা। সেখানেও বৃষ্টির পরিমাণ ওড়িশার তুলনায় অনেক কম। দীঘায় ২৬.৯ , ক্যানিংয়ে ৩১.২, মেদিনীপুরে ৪৬.৭ মিমি বৃষ্টি হয়েছে এই সময়ে।  কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সোমবার দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। 

14th     September,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ