বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

জল ছাড়াতেই বন্যা 
মমতার দাবিকে মান্যতা মোদির

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: ম্যান মেড বন্যা! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কারণটাও এতদিনে রাজ্যবাসীর জানা—পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে না জানিয়ে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের (ডিভিসি) জলাধারগুলি থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়া। তার জেরে বাংলায় বন্যা হচ্ছে বারবার। অবশেষে মমতার সেই ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্বে কার্যত সিলমোহর দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। বুধবারই নরেন্দ্র মোদির কাছে ডিভিসির জল ছাড়ার কথা নালিশ আকারে পেশ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর একটাই দাবি, অবিলম্বে পলি উত্তোলন করে জলাধারগুলির ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হোক। পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধারের পলি উত্তোলন করা হলে ২২০ মিলিয়ন (২২ কোটি) কিউবিক মিটার জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এড়ানো যাবে এই বিপত্তি। এরপরেই ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগকে মান্যতা দেয় পিএমও।  
এদিন দুপুরে হাওড়া জেলার বন্যাদুর্গত আমতা এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ই তাঁকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার সময় নরেন্দ্র মোদির কাছে ডিভিসি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতেই অবশ্য তিনি ক্ষান্ত হননি। আমতা থেকে নবান্নে ফিরে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। কিছুটা খোঁচা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘রাজ্যে নাগাড়ে চলছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কখনও সাইক্লোন, আবার কখনও ম্যান মেড বন্যার আকারে। কেন্দ্রের কোনও আর্থিক সাহায্য মিলছে না। তা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক এই বন্যার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট আপনার হস্তক্ষেপের জন্য পাঠাব।’ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এক ট্যুইটবার্তায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি অংশে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তিনি রাজ্যকে প্রয়োজনীয়  সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন।  ডিভিসির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, ‘কতটা জল ছাড়া হবে, তা নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। সেচদপ্তরের পদস্থ কর্তা সেই কমিটির সদস্য। রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে জল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’ মুখ্যমন্ত্রীর অবশ্য অভিযোগ, ৫৪ হাজার বলে প্রায় ২ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। এই বিষয়ে সংস্থার বক্তব্য, সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ধরে রাখা হয়েছে। একদিনে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে জলাধারগুলি। পলি উত্তোলনের জন্য খরচ করতে হবে ৫০ হাজার কোটি টাকা, যা কোনওভাবেই বাস্তবসম্মত নয়। ডিভিসির বক্তব্যকে খণ্ডন করেছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তাঁর অভিযোগ, ‘প্রতিদিন ৫০ হাজার কিউসেক করে জল ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। তা মানা হয়নি।’এদিন রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায় এবং স্থানীয় বিধায়ক সুকান্ত পালকে সঙ্গে নিয়ে আমতার সেহাগড়িতে বন্যাদুর্গতের মাঝে যান মমতা। তুমুল বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় জলেও নেমে পড়েন। তাঁর বার্তা—চিন্তা করবেন না, রাজ্য সরকার আপনাদের পাশে আছে।

5th     August,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ