বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

জামাই ষষ্ঠীর ঠিক আগেই বাঙালির পাতে
বাংলাদেশ-মায়ানমারের ১০০ টন ইলিশ

অলকাভ নিয়োগী, বারাকপুর: ভেটকির পাতুরি, কচি পাঁঠার ঝোল কিংবা চিংড়ির মালাইকারি। হরেক মেনুর ‘ডালা’ সাজিয়ে জামাই আদর বাঙালির রীতি। কিন্তু তাতে যদি রুপোলি শস্যের ছোঁয়া না থাকে, তবে বোধহয় মুখ গোমড়া হয় হেঁশেলেরও। তা মাথায় রেখেই জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে বাজারে আনা হচ্ছে হিমঘরে সংরক্ষিত ১০০ টন ইলিশ। তবে এই ইলিশ স্বদেশী নয়, ‘পদ্মার ফসল’। রসনা তৃপ্তিতে যার জুড়ি মেলা ভার। মঙ্গলবার রাত থেকেই কলকাতা সহ বিভিন্ন বাজারে মিলবে এই বিদেশি ইলিশ। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ যেমন পাওয়া যাবে, তেমনই বেশি ‘কড়ি গুনলে’ মিলবে এক থেকে দেড় কেজি কিংবা দু’কিলো সাইজের ইলিশও।
তথ্য বলছে, বছরে চারবার ইলিশের চাহিদা তৈরি হয়। সরস্বতী পুজোর সময় জোড়া ইলিশ, বাঙালির পয়লা বৈশাখ, জামাই ষষ্ঠী এবং পুজোর বিজয়াদশমী। মূলত এই ‘অকেশন’গুলোয় যাতে বাঙালির পাতে ইলিশের টান না পড়ে, সেজন্য ব্যবসায়ীরা হিমঘরে ইলিশ মজুত করে রাখেন। তার মধ্যে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের ইলিশ যেমন থাকে, তেমনই এ রাজ্যের ডায়মন্ডহারবার, কাকদ্বীপ, নামখানা প্রভৃতি অঞ্চলের ইলিশও সংরক্ষিত থাকে। চাহিদা অনুযায়ী উৎসবের আগে তা বের করা হয় রাজাবাজার, কসবা, ডানলপ, বারাসত, মধ্যমগ্রাম প্রভৃতি এলাকার একাধিক হিমঘর থেকে। রাজ্যের ফিস ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (হিলসা) সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস বলেন, ‘১৪ জুন পর্যন্ত সাগরে ট্রলারে নামানোর উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই রাজ্যের ইলিশ পাওয়া যাবে না। তবে, জামাই ষষ্ঠীতে ইলিশের পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে। বাংলাদেশ ও মায়ানমার মিলিয়ে ১০০ টনের বেশি ইলিশ হিমঘরে মজুত রয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই তা কলকাতা সহ বিভিন্ন বাজারে ছেড়ে দেব। হিসেব অনুযায়ী জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে প্রায় ৫০-৬০ টন ইলিশ বিক্রি হয়। তবুও আমরা ১০০ টন প্রস্তুত রেখেছি।’
বাংলার বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় আগে বাংলাদেশ থেকে কয়েকশো মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি হতো। ২০১০-২০১১ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাত হাজার মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ ঢুকেছিল। কিন্তু, ২০১২ সাল থেকে পদ্মার ইলিশ পাঠানো বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। এমনকী, নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় ভারতে ইলিশ রপ্তানির উপরও। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে বাংলা নববর্ষের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে ৩০ কেজি পদ্মার ইলিশ ‘তোফা’স্বরূপ নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু আম-আদমির পাতে তার ছিঁটেফোঁটাও জোটেনি। 
২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের নতুন মৎস্যমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দ ভারতে ইলিশ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তারও দেড়বছর পর ২০২০ সালের পুজোর একমাস আগে বাংলাদেশ থেকে ১৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি হয়। তার মধ্যে বেশ কয়েক টন ইলিশ হিমঘরে মজুত রয়েছে। এছাড়া, গত বছর মায়ানমার থেকে বিমানে করে প্রচুর ইলিশ নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই ইলিশও সংরক্ষিত রয়েছে হিমঘরে। এই দুই বিদেশি ইলিশ নিয়েই এবার জামাই আপ্যায়নের পালা। 

14th     June,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ