বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হচ্ছে
নিম্নচাপ, আশঙ্কায় হাওয়া অফিস

পশ্চিমে ‘তাউতে’র পর কি এবার পূর্বে ‘যশ’ 

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আরব সাগরে তাউতের ঝাপটার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার চোখ রাঙাচ্ছে বঙ্গোপসাগর। এই জলরাশির পূর্ব ও মধ্যভাগে আগামী ২৩ মে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। তা যদি শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে তার প্রভাব পড়বে পূর্ব উপকূলের রাজ্যগুলিতে। হাওয়া অফিসের খবর, সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘যশ’। তবে তার অভিমুখ কোন দিকে হবে, তা এখনও স্পষ্ট করতে পারেনি তারা।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মে মাসের শেষ সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরের বুকে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর ২০ মে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় উম-পুন এরাজ্যে আছড়ে পড়ায় কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা জি সি দাস জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ সাধারণত পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা কিংবা অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল বরাবর হয়। নাহলে তা ঘুরে যায় বাংলাদেশ, মায়ানমারের দিকে। তবে শেষ পর্যন্ত যদি ওই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার অভিমুখ কোন দিকে হবে, তা আগামী শুক্রবারের মধ্যে অনেকটা পরিষ্কার হতে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বলা হয়েছে, আগামী ২৩ তারিখ নাগাদ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। বছরের এই সময়ে নিম্নচাপ তৈরি হলে সেটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এদিকে, আগামী ২২ মে নাগাদ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করতে চলেছে। সেক্ষেত্রে মৌসুমি বায়ুর আগমনে শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে ‘যশ’।
গত ১০-১২ বছরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে দু’টি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল। উম-পুনের আগে ২০১০ সালের ২৫ মে আইলা কাঁপিয়ে দিয়ে গিয়েছিল গোটা দক্ষিণবঙ্গকে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাসে ওড়িশার সুপার সাইক্লোনের পর পূর্ব উপকূলের রাজ্যগুলিতে সব থেকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল উম-পুন। অতি শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় উপকূলভূমিতে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৫৫ কিমি। আরবসাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড় ‘তাউতে’ সোমবার সন্ধ্যায় গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়েছে। সেটিও ছিল একই গোত্রের।
ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে আবহাওয়া দপ্তর এখন যে পূর্বাভাস দেয়, তা অনেকটাই মিলে যায় অক্ষরে অক্ষরে। উন্নত প্রযুক্তির কারণে অনেক আগেই এর আঁচ পাওয়া যায়। পাশাপাশি তা কোথায় এবং কত তীব্রভাবে আছড়ে পড়বে, তারও আন্দাজ পাওয়া যায়। ফলে প্রশাসনের তরফে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকে। উম-পুন বা তাউতের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে যশ দানা বাঁধলে সেটি পশ্চিমবঙ্গ বা রাজ্যের উপকূল সংলগ্ন বাংলাদেশ বা ওড়িশায় আছড়ে পড়তে পারে। তাহলেও বাংলায় তার প্রভাব পড়বে।  ঝড়ের পর মুম্বই। ছবি: পিটিআই 

19th     May,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ