বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

টিকা, ওষুধে জিএসটি বহাল রেখেই
ট্যুইটে মমতার চিঠির সাফাই নির্মলার

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা টিকা, কোভিডের জীবনদায়ী ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জামে কর ছাড় দেওয়া হোক। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি চিঠির জবাব এল ট্যুইটারে। নরেন্দ্র মোদি নন, উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাও আবার একটা-দু’টো নয়, পাক্কা ১৫টি ট্যুইটে। রবিবার সকালেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিটি পাঠান মমতা। বিকেলেই তার জবাবে একের পর এক ট্যুইট করে নির্মলা বুঝিয়ে দেন, টিকা, ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জামে জিএসটি বজায় থাকবে। দেশীয় টিকা উৎপাদক এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত। তাঁর সাফ কথা, অভ্যন্তরীণ সরবরাহ এবং বাণিজ্যিক আমদানির ক্ষেত্রে টিকায় ৫ শতাংশ এবং ওষুধ-অক্সিজেন কনসেনট্রেটরে ১২ শতাংশ জিএসটি তুলে নিলে এগুলির দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। আর তারপরই প্রশ্ন উঠছে—এখনও কেন টিকা-ওষুধের দাম বেঁধে দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার? কেন্দ্রীয় বাজেটে টিকাকরণের জন্য বরাদ্দ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ওই টাকায় দেশীয় উৎপাদকদের ভর্তুকিই বা দেওয়া হচ্ছে না কেন? তাতেই তো সব সমস্যার সমাধান হতে পারে। সূত্রের খবর, বাজেট বরাদ্দের মধ্যে মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা এখনও পর্যন্ত খরচ করেছে মোদি সরকার।
করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রথম দিন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার দিনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন, তাঁর প্রথম কাজ কোভিড মোকাবিলা। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামোর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। অক্সিজেন ও ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বারবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। এদিন তাঁর চিঠির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল কর ছাড়। বর্তমান সময়ে এই দাবিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, বিভিন্ন সংস্থা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে, যাতে করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সবরকম চিকিৎসা সরঞ্জামের উপর থেকে কর তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি এব্যাপারে আবেদন জানাচ্ছেন। অক্সিজেনের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ফারাকের কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। আবেদন জানিয়েছেন অক্সিজেন ও ভ্যাকসিনের জোগান বৃদ্ধির।
জবাবে ১৫টি ট্যুইট করলেও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে কর্ণপাত করেননি। বরং তিনি ফলাও করে জানিয়েছেন, গত ৩ মে রেমডিসিভির, মেডিক্যাল অক্সিজেন, অক্সিজেন কনসেট্রেটরের মতো ২৩টি ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীতে আইজিএসটি, বহিঃশুল্ক এবং স্বাস্থ্য সেস মকুব করেছে কেন্দ্র। তার লম্বা তালিকাও পোস্ট করেছেন নির্মলা। জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান রেডক্রসের আমদানি করা কোভিড ত্রাণ সামগ্রীতেই এই ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে বাণিজ্যিক আমদানি এবং অভ্যন্তরীণ সরবরাহে টিকায় ৫ শতাংশ এবং ওষুধ-অক্সিজেন কনসেনট্রেটরে ১২ শতাংশ জিএসটি প্রযোজ্য থাকছে। জিএসটি পুরোপুরি মকুব করা হলে দেশীয় উৎপাদকদের কাঁচামালে দেওয়া করের ক্ষেত্রে ভারসাম্য থাকবে না। এতে উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়বে। বিপদে পড়বেন সাধারণ মানুষ। সরকার ৪৫ ঊর্ধ্বদের বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে। টিকা সরবরাহের জিএসটিও সরকারই মেটাচ্ছে। তা ছাড়া জিএসটি আদায়ের ৭০ শতাংশ বিভিন্নভাবে রাজ্যের হাতে পৌঁছয় বলেও দাবি করেছেন নির্মলা। কিন্তু আদতে সাধারণ মানুষ কীভাবে সুরাহা পাবেন, সেই বিষয়ে কোনও আশা দিতে পারেননি। -ফাইল চিত্র

10th     May,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ