বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

রেশন গ্রাহকের বাড়িতে খাদ্য পৌঁছনো
নিয়ে কেন্দ্র আপত্তি তুলতে পারবে না

মনে করছেন আধিকারিকরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছেন, এবার মানুষের বাড়িতে সরাসরি রেশনের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। দিল্লি কেজরিওয়াল সরকারও একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সেই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কিছু আপত্তি তোলা হয়েছে। তবে আপত্তি করা হয়েছে শুধু উদ্যোগের নামকরণ প্রসঙ্গে। রেশন গ্রাহকের বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে কোনও আপত্তি কেন্দ্রীয় সরকার তোলেনি। রাজ্য খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন, এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত উদ্যোগ কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লির মতো কোনও আপত্তি তুলতে পারবে না। রাজ্যের চার কোটিরও বেশি রেশন গ্রাহকের খাদ্য সরবরাহ করার আর্থিক দায় পুরোপুরি রাজ্য সরকার বহন করে। তাই তাঁদের রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্র কোনও আপত্তি তুলতে পারে না। দিল্লির সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের পরিচালিত জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের খাদ্য গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার উ঩দ্যোগ নিয়েছিল। এই ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়- ‘মুখ্যমন্ত্রী ঘর ঘর রেশন যোজনা’। এই নাম দেওয়ার বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে মার্চ মাসে দিল্লি সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী এভাবে নামকরণ করা যায় না বলে কেন্দ্র চিঠিতে জানিয়েছিল। 
জাতীয় প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৬ কোটি ১ লক্ষ রেশন গ্রাহক আছেন। শুধু এই শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য কেন্দ্র ৩ টাকা কেজি দরে চাল ও ২ টাকা কেজি দরে গম সরবরাহ করে। রাজ্য সরকার গত বছর এপ্রিল মাস থেকে এই গ্রাহকদের জন্যও অতিরিক্ত ভর্তুকি দিয়ে বিনা পয়সায় চাল-গম দিচ্ছে। রাজ্যে বাড়িতে বাড়িতে রেশনের খাদ্য পৌঁছে দেওয়া হলে ওই উদ্যোগের আদৌ কোনও নামকরণ হবে কি না, সেব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও ঘোষণা করা হয়নি। মন্ত্রিসভা গঠনের পর খাদ্যদপ্তরের নয়া মন্ত্রী পুরো প্রকল্পটি কীভাবে চালানো হবে, সেই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করবেন।  সব রেশন গ্রাহকের বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি কার্যকর করতে কিছুটা সময় লাগবে। এই প্রক্রিয়ায় রেশন ডিলারদের ভূমিকা কী হবে, কারা বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেবেন- এইসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজ্যে ২০ হাজারের বেশি রেশন ডিলার আছেন। রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে এখন ডিজিটাল কার্ড, ই-পস যন্ত্রে স্ক্যান করে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকার অনেকদিন ধরে চাইছে, রেশন গ্রাহকের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে ই-পস যন্ত্রে তাঁর আধার নম্বর যাচাই করে খাদ্য দেওয়া হোক। এর জন্য আধার নম্বর নথিভুক্তকরণের কাজ পশ্চিমবঙ্গে প্রায় সম্পূর্ণ। বাড়িতে খাদ্য সরবরাহ করা হলে ই-পস যন্ত্রে কার্ড স্ক্যান ও আধার নম্বর যাচাই কীভাবে হবে, সেই ব্যাপারেও রাজ্য সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের তরফে দিল্লি সরকারকে যে চিঠি পাঠানো হয়, তাতে অবশ্য আধার যাচাই বা ই-পস যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা হয়নি। বাস্তবে এই দু’টি কাজ দিল্লিতে সেভাবে হয়নি।

10th     May,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ